সাদা-কালোর আলো। জোসিমার ও অসীম।—নিজস্ব চিত্র। |
যুবভারতীতে ম্যাচটার প্রথমার্ধ যদি হয় বাংলাদেশের দলটির, দ্বিতীয়ার্ধ তা হলে সঞ্জয় সেনের দলের। চার ডিফেন্ডারের সামনে রাকেশ মাসিকে ডিফেন্সিভ স্ক্রিন রেখে ৪-১-৪-১ ছকে শুরু করেছিলেন সাদা-কালো কোচ। কিন্তু প্রথমার্ধে মাঝমাঠে বল কাড়া কিংবা বিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে পাল্টা আক্রমণ তৈরির কোনওটাই ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না রাকেশ, অ্যান্টনিরা। সুযোগ অনুকূলে রয়েছে দেখে ধানমন্ডির জোড়া বিদেশি স্ট্রাইকার সনি নর্ডি এবং এমেকা তাই মহমেডান ডিফেন্সের ফাঁক-ফোকর দিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। তাদের এগিয়ে যাওয়াটা অনেকটা এ ভাবেই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাঁ প্রান্ত থেকে যে ভাবে ডাউন দ্য মিডল ঢুকে এসে প্রায় পঁচিশ গজের দুরন্ত শটে গোল করে গেলেন একদা বোকা জুনিয়র্সে খেলা হাইতির ছেলে নর্ডি, তা সত্যিই দর্শনীয়। দাবি করে গেলেন যে, হাইতি-ইতালি ২-২ গোলের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে তাঁর একটা গোলও আছে। তবে অমন গোলের ঝলসানিতেও যে সঞ্জয়ের চোখ ধাঁধিয়ে যায়নি সেটা অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধেই বোঝালেন মহমেডান কোচ। অসীম বিশ্বাসে পাল্টা প্রতিষেধক প্রয়োগে।
মহমেডান শিবির সূত্রে অবশ্য খবর, কার্যত সেমিফাইনাল চলে যাওয়ায় মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে অসীমকে বসানো হতে পারে। কারণ তাঁর কোচই বলে দিলেন, “আই লিগে অসীমকে দরকার। অহেতুক ওকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছি না।” কিন্তু সঞ্জয়ের ক্লাবের কর্তারা সেটা শুনবেন কি?
মহমেডান: লুইস, নির্মল (ফুলচাঁদ), মেহরাজ, লুসিয়ানো, ধনরাজন, রাকেশ, অসীম (ইসরাইল), অ্যান্টনি (মণীশ), পেন, নবি, জোসিমার। |