নিজেকে নিজেই বাঁচালেন জোসিমার

ধানমন্ডি-১ (সনি)
মহমেডান-২ (অসীম, জোসিমার)
ফেড কাপে অপরাজিত থেকেও সেমিফাইনালে জায়গা হয়নি। আইএফএ শিল্ডে সেই আক্ষেপ মেটানোর ফিনিশিং লাইনে কার্যত পৌঁছেই গেলেন সঞ্জয় সেন। রবিবার বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডিকে হারিয়ে সঞ্জয়ের মহমেডান প্রায় উঠেই গেল শিল্ড সেমিফাইনালে। তাও আবার এক গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় পেনাল্টি নষ্ট করে!
কী ভাবে? বাড়ি ফেরত নবি-অসীমরা বলে গেলেন, “সঞ্জয়দার জন্যই ম্যাচটা জিততে পারলাম। হাফটাইমে বলেছিলেন উইং দিয়ে আক্রমণ আর প্রেসিং ফুটবল খেললে ওরা পারবে না। সেটাই হয়েছে।” বিরতিতে মহমেডান ড্রেসিংরুমে গোড়ালির যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন সাদা-কালো শিবিরকে সমতায় ফেরানো অসীম বিশ্বাস। তখনই তাঁকে তুলে নেওয়ার জন্য কোচকে অসীম অনুরোধ করলেও সঞ্জয় শোনেননি।
সঞ্জয় বরং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অফফর্মে থাকা অ্যান্টনিকে তুলে নামালেন মণীশ মৈথানিকে। তাতে রক্ষণ আর মাঝমাঠ জমাট হলেও গোল আসছিল না। তখনই মহমেডান কোচ উইং প্লে-র সঙ্গে মেশালেন প্রেসিং ফুটবল। যার সৌজন্যেই অবশেষে পেনের কর্নার থেকে দুর্দান্ত সাইড ভলিতে গোল শোধ অসীমের। ১-১ হওয়ার পর নবি, ইসরাইলদের দু’প্রান্ত থেকে তুলে আনা আরও বেশি আক্রমণের সামনে ধানমন্ডির রক্ষণ নড়বড়ে হতেই জয়ের গোল জোসিমারের। তার পরেও অবশ্য জোসিমারের গলায় হতাশা। “পেনাল্টি থেকে আমার গোল করা উচিত ছিল। আজ হেরে গেলে আমিই কিন্তু ভিলেন হয়ে যেতাম।”

সাদা-কালোর আলো। জোসিমার ও অসীম।—নিজস্ব চিত্র।
যুবভারতীতে ম্যাচটার প্রথমার্ধ যদি হয় বাংলাদেশের দলটির, দ্বিতীয়ার্ধ তা হলে সঞ্জয় সেনের দলের। চার ডিফেন্ডারের সামনে রাকেশ মাসিকে ডিফেন্সিভ স্ক্রিন রেখে ৪-১-৪-১ ছকে শুরু করেছিলেন সাদা-কালো কোচ। কিন্তু প্রথমার্ধে মাঝমাঠে বল কাড়া কিংবা বিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে পাল্টা আক্রমণ তৈরির কোনওটাই ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না রাকেশ, অ্যান্টনিরা। সুযোগ অনুকূলে রয়েছে দেখে ধানমন্ডির জোড়া বিদেশি স্ট্রাইকার সনি নর্ডি এবং এমেকা তাই মহমেডান ডিফেন্সের ফাঁক-ফোকর দিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। তাদের এগিয়ে যাওয়াটা অনেকটা এ ভাবেই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাঁ প্রান্ত থেকে যে ভাবে ডাউন দ্য মিডল ঢুকে এসে প্রায় পঁচিশ গজের দুরন্ত শটে গোল করে গেলেন একদা বোকা জুনিয়র্সে খেলা হাইতির ছেলে নর্ডি, তা সত্যিই দর্শনীয়। দাবি করে গেলেন যে, হাইতি-ইতালি ২-২ গোলের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে তাঁর একটা গোলও আছে। তবে অমন গোলের ঝলসানিতেও যে সঞ্জয়ের চোখ ধাঁধিয়ে যায়নি সেটা অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধেই বোঝালেন মহমেডান কোচ। অসীম বিশ্বাসে পাল্টা প্রতিষেধক প্রয়োগে।
মহমেডান শিবির সূত্রে অবশ্য খবর, কার্যত সেমিফাইনাল চলে যাওয়ায় মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে অসীমকে বসানো হতে পারে। কারণ তাঁর কোচই বলে দিলেন, “আই লিগে অসীমকে দরকার। অহেতুক ওকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছি না।” কিন্তু সঞ্জয়ের ক্লাবের কর্তারা সেটা শুনবেন কি?

মহমেডান: লুইস, নির্মল (ফুলচাঁদ), মেহরাজ, লুসিয়ানো, ধনরাজন, রাকেশ, অসীম (ইসরাইল), অ্যান্টনি (মণীশ), পেন, নবি, জোসিমার।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.