সনিয়াকে মোদীর পাল্টা বিষ তোপ
র্নাটকে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী গত কাল বলেছিলেন, দেশে বিষের বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। এক দিন পরে উত্তরপ্রদেশের সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর জবাব, সব চেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থেকেছে কংগ্রেসই। দেশে বিষের রাজনীতি ছড়াচ্ছে ওরাই। বিষের রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে এ দিন সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীকে বিদ্রুপ করতেও ছাড়েননি মোদী।
গত কয়েক মাস ধরেই দেশ জুড়ে একের পর এক সভা করছেন মোদী। যেমন আজ করলেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। এই সব সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সযত্নে এড়িয়ে যাচ্ছেন মেরুকরণের প্রসঙ্গ। উন্নয়নকেই মাপকাঠি করে জনতার মন পেতে চাইছেন। কিন্তু তাতেও বিষ-রাজনীতি নিয়ে বিরোধীদের তোপ থেকে রেহাই মিলছে না। যেমন কাল সনিয়া দেগেছেন। এই পরিস্থিতিতে মেরঠে দাঁড়িয়ে সনিয়া-রাহুলকে পাল্টা নিশানা করলেন তিনি। তবে সেই আক্রমণে সনিয়াকে যতটা বিঁধেছেন, রাহুলকে ততটা নয়। শুধু রাহুলের সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, “এখন এক নতুন রাগা (রাহুল গাঁধীকে সংক্ষেপে এ নামেই ডাকছে সংবাদমাধ্যম) চলছে! প্রশ্ন এক তো উত্তর আর এক!”
মেরঠে এখনও মুজফ্ফরনগরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছাপ রয়েছে। সেখানে মেরুকরণের অঙ্ক কষেছেন বিজেপি নেতারা। তাই মোদীর আগে বলতে উঠে কল্যাণ সিংহ, বিনয় কাটিয়ারের মতো নেতারা কড়া শব্দ প্রয়োগ করেন।
মোদীর জয়ের প্রার্থনায় শঙ্খধ্বনি প্রমীলা বাহিনীর। রবিবার মেরঠের সভায়। ছবি পিটিআই।
রাজনাথ সিংহ বলেছেন, “গুজরাত দাঙ্গার জন্য মোদী কেন ক্ষমা চাইবেন? মোদী তো দাঙ্গা সমর্থন করেননি। ক্ষমা চাইবে কংগ্রেস। শিখ দাঙ্গায় রাজীব গাঁধীর সমর্থনের জন্য।” মোদী অবশ্য এই প্রসঙ্গে বেশি কথা বলেননি। বরং বলেন, “মেরঠে যেমন দাঙ্গা হয়, আগে আমদাবাদেও হত। কিন্তু গত দশ বছরে গুজরাতের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে থাকাটাই বেছে নিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশকেও আমি দাঙ্গামুক্ত করে দেব।”
তবে ওইটুকুই। দ্রুত ঢুকে পড়েছেন সুশাসন-প্রসঙ্গে। নিজস্ব ভঙ্গিতে বলেছেন, “ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি ঢের হয়েছে। অনেক বিষ ছড়ানো হয়েছে। এ বার শুধু উন্নয়নের কথা হোক।” উন্নয়ন প্রশ্নে মুলায়মকেও নিশানা করতে ছাড়েননি এ দিন। বলেছেন, “সমাজবাদী পার্টি এখন সমাজবিরোধী পার্টি হয়েছে! মুলায়ম ও অখিলেশ এত আক্রমণ করেন, অথচ আমার সঙ্গে টক্কর নিতে হলে গুজরাতের আইন-শৃঙ্খলা, উন্নয়নের সঙ্গে টক্কর নিয়ে দেখান!”
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই অঞ্চলে এসে বারবার চরণ সিংহের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের শরিক অজিত সিংহের অস্বস্তি বাড়ান মোদী। এ দিন মোদীর মঞ্চে ছিলেন মুম্বই পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া সত্যপাল সিংহ। সূত্রের ইঙ্গিত, অজিতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন সত্যপাল।
উঠেছে আপ প্রসঙ্গও। দিল্লির আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতীর নাম না করেও উগান্ডার মহিলাদের তল্লাশির বিতর্কিত প্রসঙ্গটি টানেন মোদী। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্বে সভা করতে যাওয়ার আগে অরুণাচলের বিধায়কের ছেলের মৃত্যুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.