|
|
|
|
কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধের জল্পনা ওড়ালেন পওয়ার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২ ফেব্রুয়ারি |
কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর জোট সম্পর্ক ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আঁতাঁত নিয়ে জল্পনায় ইতি টানতে আজ নিজেই এগিয়ে এলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। কেন্দ্রে ইউপিএ-র এই শরিক নেতা টুইটারে আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনও হুঁশিয়ারিই তাঁরা কংগ্রেসকে দেননি। বরং লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে এনএসপি-র আসন রফার বিষয়টি দিন দশেকের মধ্যেই পাকা হয়ে যাবে।
মহারাষ্ট্রে ১৪ বছর ধরে জোট সরকার চলছে কংগ্রেস ও এনসিপি-র। প্রতিবারই লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের আগে দুই শরিকের মধ্যে টানাপোড়েনের ছবিটা ধরা পড়ে। এ বারও অন্যথা হয়নি। পওয়ার নিজে নাম না করে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বকে ‘দুর্বল’ বলে খোঁচা দেন। তার পর রাহুল গাঁধীর সঙ্গে তুলনা টেনে নরেন্দ্র মোদীকে এগিয়ে রাখেন এনসিপি মুখপাত্র ডি পি ত্রিপাঠি। সর্বোপরি রাহুলের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল বলেন, “গোধরা দাঙ্গার ঘটনায় যখন আদালত মোদীকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে, তখন এ ব্যাপারে যাবতীয় বিতর্ক সেখানেই থামিয়ে দেওয়া উচিত।” তিনি এ-ও বলেন, “আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস কথা বলতে দেরি করছে। আমরা ধৈর্য হারাচ্ছি।” পটেলের এই মন্তব্যকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছিলেন কেউ কেউ। আর এ সবের মাঝেই পওয়ার-মোদী গোপন বৈঠক হয়েছে বলে রটে যায়।
প্রকাশ্যে শরিক নেতাদের এ সব মন্তব্য গায়ে মাখতে চায়নি কংগ্রেস। তবে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা সম্প্রতি এ ব্যাপারে পওয়ারের কাছে ক্ষোভ জানান। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা বলতে শুরু করেন, ক্ষমতা থাকলে জোট ভেঙে দেখাক এনসিপি।
এর পর আজ পওয়ার সাতসকালে টুইটারে বলেন, “প্রফুল্ল পটেল কংগ্রেসকে কোনও চরমসীমা দেননি। বন্ধুত্বপূর্ণ মেজাজেই কথা চলছে।” সেই সঙ্গে পওয়ারের ঘনিষ্ঠ নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এনসিপি-র মতাদর্শগত ফারাক রয়েছে। তাই বিজেপি-র সঙ্গে আঁতাঁতের প্রশ্নই নেই।”
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, আসন বণ্টন নিয়ে কথার সময় চাপ বাড়াতেই এনসিপি নেতারা এ সব বলছেন। কিন্তু কংগ্রেস জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের ২৬টিতে তারা লড়বে। এনসিপি-কে ছাড়া হবে বাকি ২২টি। বিহারে এনসিপি-কে আরও দু’টি আসন ছাড়বে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতাদের বক্তব্য, গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র তুলনায় কংগ্রেসের শক্তি বেড়েছে। তাই আগের বারের চেয়ে বেশি আসন ছাড়ার প্রশ্ন নেই। |
|
|
|
|
|