|
|
|
|
সংঘর্ষে হত কেএলও-র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও ধুবুড়ি |
যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অসমের কোকরাঝাড় জেলার নন্দনগিরি পাহাড়ে নিহত হল কেএলও-র অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি বৃন্দাবন রাজবংশী (২৫) ওরফে মুকুট রায়। অসম পুলিশ গত ২০ জানুয়ারি কয়েকজন কেএলও নেতার ছবি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করে। সেখানে বৃন্দাবনেরও ছবি ছিল। বৃন্দাবনের খোঁজ দিতে পারলে ৩ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল অসম পুলিশ।
শনিবার পুলিশ খবর পায়, বৃন্দাবন ও তার সঙ্গীরা শালাকাটির নায়কগাঁও সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। রাত ১০টা নাগাদ যৌথবাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। ঘাঁটি ঘিরে ফেলার পরে দু’তরফে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশ জানায়, সেখানে বৃন্দাবন ছাড়াও সমর রায় ওরফে র্যাম্বো এবং আরও এক জঙ্গি ছিল। অন্ধকারের সুযোগে সমর এবং অন্য জঙ্গি পালায়। কিন্তু গুলিতে ঘটনাস্থলেই বৃন্দাবনের মৃত্যু হয়। তার কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ মিলিমিটার বোরের পিস্তল, গ্রেনেড, মোবাইলের দু’টি সিম, কেএলও-র লেটারহেড ও ডায়েরি মিলেছে। পুলিশের দাবি, প্রতিবেশী কয়েকটি দেশেও বৃন্দাবনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। ২১ জানুয়ারি ফকিরগ্রামের বৌবাজারে ব্যবসায়ী সুধাংশু সরকারকে হত্যার ঘটনাতেও তার হাত রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃন্দাবনের গতিবিধির খবর দিয়েছেন যে ব্যক্তি, তাঁকে পুরস্কারের তিন লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে তাঁর পরিচয় জানানো হয়নি।
নিহত জঙ্গির বাবা কমলাকান্ত রায় ছেলের দেহ শনাক্তের পরে জানান, কোকরাঝাড়ের মানিনাতোলের বাসিন্দা বৃন্দাবন নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিল। সে দু’বছর কেরলে কাজ করে। তারপর থেকে ছেলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল না। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিত সিং পানেস্বর বলেন, “বেশ কয়েকটি অপহরণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল বৃন্দাবন। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকায় এবং অসমে বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনায় কেএলও-র নাম উঠে আসে। গত ডিসেম্বরে জলপাইগুড়ির বজরাপাড়ার বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কেএলও-র দুই শীর্ষ নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে সময় থেকেই অসম এবং উত্তরবঙ্গের কেএলও সদস্যদের ছবি দিয়ে পোস্টার তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ এবং অসমেও কেএলও-র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। গত এক মাসে উত্তরবঙ্গে কেএলও জঙ্গি সন্দেহে অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণ কাণ্ডে কেএলও-র ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ তরুণ থাপা ওরফে নারায়ণ রায় এবং সহ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস সিদ্দিকি ওরফে প্রাণনারায়ণ কোচকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। |
|
|
|
|
|