অসম-বাংলা সীমানার মানসাই এলাকায় শূন্যে গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ কোচবিহারের বক্সিরহাট থানা এলাকার অসম সীমানা লাগোয়া মানসাইয়ের ছোবান চৌপথী লাগোয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কেএলও জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন চৌপথী লাগোয়া একটি রাস্তায় আচমকা অসমের দিক থেকে বাইক আরোহী তিন যুবক আসে। তাদের মধ্যে একজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরপর তিন রাউন্ড শূন্যে গুলি চালায়। গুলির শব্দে এলাকার বাসিন্দারা হতচকিত হয়ে বাড়ির বার হয়ে আসেন। বাইক নিয়ে ওই যুবকেরা অসমের দিকে পালিয়ে যায় বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, তবে বক্সিরহাট থানার পুলিশ এলাকায় গেলেও ফাঁকা কার্তুজ পায়নি। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “গুলি চালনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। ফাঁকা কার্তুজ বা অন্য কোনও চিহ্ন মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। অসম পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মানসাই বাজার চত্বর থেকে ছোবান চৌপথীর দূরত্ব প্রায় দুই কিমি। সেখান থেকে আর মাত্র অর্ধেক কিমি রাস্তা এগোলেই অসমের ধুবুরি জেলার পোকালাগি এলাকা। ওই রাস্তায় অসম-বাংলার লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। গত বছর মানসাই বাজার এলাকায় সন্দেহভাজন কেএলও জঙ্গিরা ওই রুট ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে অসমের দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন। এবার সেই একই রুট ব্যবহার করে বাইক আরোহী তিন দুষ্কৃতী অসমের দিকে উধাও হয়ে গিয়েছে।
ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বারকোদালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান জগদীশ বর্মা বলেন, “মুখ ঢাকা অবস্থায় তিনজন বাইক নিয়ে এসে শূন্যে গুলি চালিয়ে অসমের দিকে পালিয়ে যায়। অনেকেই গুলির শব্দ শুনেছেন। আগেও মানসাই বাজারে গুলিতে একজন জখম হওয়ায় এবারের ঘটনায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে।” তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি স্বপন সাহা বলেন, “গুলি চালিয়ে ওই যুবকেরা অসমের দিকে পালিয়ে যায় বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।” |