গ্যাস সিলিন্ডার চুরির সময় দুই চোরকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে দিলেন গ্যাস গ্যাস এজেন্সির সরবরাহকারীরাই। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় এলাকার ঘটনা। ধৃত সত্যজিৎ নিয়োগী এবং দেবু চৌধুরীর বাড়ি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন কামরুল হক নামে এক বাহকের ভ্যান থেকে সিলিন্ডার তুলে বাইকের পিছনে বসছিল দেবু, বাইকের চালকের আসনে বসেছিল সত্যজিৎ। এই অবস্থায় হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলেন কামরুল। তিনি বলেন, “আমি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। দুজনকে ভ্যান থেকে সিলিন্ডার তুলতে দেখেই দৌড়ে গিয়ে ধরি।” তিনি ফোনে ডাকেন অন্য বাহকদেরও। সকলে মিলে তাদের মারধর করেন। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হবে।” ধৃত সত্যজিৎ বলেন, “আমি অসুস্থ। দেবুকে নিয়ে বাইকে তেল ভরতে এসেছিলাম। হঠাৎ আমাদের দুজনকে চোর বলে পেটানো শুরু করে কয়েকজন। আমরা কিছুই জানি না।”
এই ঘটনায় গ্যাস সিলিন্ডার চুরির আরও বড় কোনও চক্র জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত ৬ মাসে নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থানা এলাকা মিলিয়ে প্রায় ১০০ টি সিলিন্ডার চুরির ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি এলাকায় এক সপ্তাহে ১২ টি সিলিন্ডার চুরি হয়েছে। প্রতিবারই চুরির ঘটনার অভিযোগ নিতে থানার পক্ষ থেকেই গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে গ্যাস সরবরাহ এজেন্সি ও বাহকদের পক্ষ থেকে। পুলিশের সঙ্গে গোপন যোগসাজশের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। তবে এদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকা কিংবা অভিযোগ না নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে দার্জিলিং জেলার দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিক পঙ্কজ সরকারের নেতৃত্বে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কির একটি খাবারের দোকানে। ওই দোকানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ঘরোয়া ব্যবহারের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচটি সিলিন্ডার বাজেয়াপ্তও করা হয়। দোকান মালিক সুবাস ঘোষ পালিয়ে যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে ম্যানেজার সুমন ঘোষ-সহ দুই কর্মীকেও। |