সাধারণ গ্রাহকরা ‘বুকিং’ করালে ১৮-২০ দিনের আগে সিলিন্ডার মিলবে না বলে একটি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। অথচ কলেজ লাগোয়া রাস্তার ধারে হকারদের একাংশ কিন্তু তিন দিন অন্তর নতুন গ্যাস সিলিন্ডার পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। উপরন্তু, বিধি ভেঙে ওই রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে রাস্তার ধারে হকাররা হাতে-গরম খাবার বানিয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই গ্রাহকদের তরফে সরবরাহকারী সংস্থাগুলির একাংশের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। যদিও কলেজপাড়ার একটি সরবরাহকারী সংস্থার তরফে সুবীর পালের দাবি, “রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য দেওয়া একেবারেই বেআইনি। ওই কাজ কেউ করে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের।” |
ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য গ্যাসের সিলিন্ডার অবাধেই
ব্যবহার হচ্ছে ব্যবসায়িক কাজে। —নিজস্ব চিত্র। |
ইতিমধ্যে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নর্থ বেঙ্গল এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনকেও জানানো হয়েছে। ওই সংগঠনের কর্তা কৌশিক সরকার জানান, তাঁরা সংগঠনের বৈঠকে আলোচনা করে পদক্ষেপ করবেন। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের কাছেও গ্রাহকদের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের অনেকেরই প্রশ্ন, যেখানে প্রথম সিলিন্ডার নেওয়ার পরে গ্যাস বুকিং করাতে গেলে হয়রানি হচ্ছে, সেখানে রাস্তার ধারে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে দিনের পর দিন হকাররা চা-জলখাবারের দোকান কী ভাবে চালাচ্ছেন? ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিধি ভেঙে রান্নার গ্যাস ব্যবহারের ব্যাপারে স্পষ্ট অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করা হবে।
গ্রাহকদের অনেকেরই অভিযোগ, শিলিগুড়িতে রাস্তার ধারের একাধিক হোটেলেই রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার যথেচ্ছ ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষত, বাঘা যতীন পার্ক, কলেজ লাগোয়া এলাকায় অনেক হোটেল, চায়ের দোকানে ওই সিলিন্ডার ব্যবহার করতে দেখা যায় বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ওই এলাকার এক গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও কিছু গ্রাহক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বছর দুয়েক আগে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ির তৎকালীন মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তবকে গ্যাস সিলিন্ডারের বেআইনি লেনদেন বিষয়ক অভিযোগ জানানো হয়। পরে মহকুমাশাসক রাস্তার ধারের একাধিক ছোট হোটেলে অভিযান চালিয়ে প্রচুর রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করেন। তদন্তে দেখা যায়, বাড়ির সিলিন্ডার সরবরাহকারী সংস্থার একাংশের যোগসাজশে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে বিক্রি হয়েছে। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অনেকেই ফের অভিযান চালানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। |