|
|
|
|
| |
শীতই পর্যটক টানছে দার্জিলিঙে
রেজা প্রধান • দার্জিলিং |
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শীত কমতে শুরু করায়, দার্জিলিং পর্যটকদের নিরাশ করেছিল। ম্যাল-সহ দার্জিলিং থেকেও যেন শীত উধাও হয়ে গিয়েছিল। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বিদায়ে উত্তরবঙ্গে শীত ফেরত আসতেই চেনা ছন্দে ফিরেছে দার্জিলিং।
অন্য সময়ের তুলনায় শীতে আকাশ পরিষ্কার থাকায়, কাঞ্চনজঙ্ঘায় রোদ-মেঘ-কুয়াশার লুকোচুরি দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকেরা। চৌরাস্তায় দাড়িয়ে হুগলির বাসিন্দা দেবাশিস দাস জানালেন, সোমবার সস্ত্রীক দার্জিলিং পৌঁছেছেন। তাঁর কথায়, “তিন বছর ধরে শীতে তুষারপাত দেখতে আসছি, যদিও কোনও বারই পাইনি। আফশোস নেই। কুয়াশা ঢাকা আঁকাবাঁকা পথে হাঁটতে ভাল লাগে। সেই সঙ্গে বাড়তি পাওনা থাকে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা।” |
 |
| চেনা মেজাজে ম্যাল। ছবি: রবিন রাই। |
ভিড় বাড়াতে উদ্যোগী প্রশাসনও। জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে এসে বর্ষা বা শীতের মতো মরসুমেও পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন। পর্যটক টানতে আগামী বছর থেকে শীতের তিন মাস জুড়েই পর্যটক মেলা, উৎসব সহ নানা অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের গিদ্দা পাহাড় থেকে রোহিণী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পথে রোপওয়ের শিলান্যাস করেছেন জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ ৪ কোটি টাকা এই পরিষেবা চালু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গিদ্দাপাহাড় থেকে কার্শিয়াং বাস টার্মিনাস পর্যন্তও রোপওয়ে চালু হবে জানিয়ে বিমল বলেন, “পর্যটক টানতে জিটিএ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। রোপওয়ের টানেও সব মরসুমে পর্যটকেরা আসবেন।”
পুজোর আগে পৃথক রাজ্যের দাবিতে বন্ধ-অবরোধের আন্দোলনের জেরে ধাক্কা খেয়েছিল পর্যটন ব্যবসা। তা মিটে গিয়ে পাহাড় ছন্দে ফিরেছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরাও লোক টানতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছে শীতকালীন ছাড়। ট্যুর অপারেটরদের কাছে শীতের তিন মাস ‘সুখা’ মরসুম হিসেবে পরিচিত। ট্যুর অপারেটর প্রদীপ লামার কথায়, “সাধারণত এপ্রিল থেকে পর্যটনের মরসুম শুরু হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে শীতের সময়েও ভাল সংখ্যক পর্যটকদের দেখা মিলছে।” পর্যটকদের আরও বেশি করে শীতের সময় দার্জিলিঙে নিয়ে আসতে হোটেল ভাড়ায় ছাড় দিতেও শুরু করেছে কয়েকটি সংস্থা। একটি হোটেলের কর্ণধার কমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শীতে আমরা সাধারণত ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিই। এ বারেও প্রতিদিন গড়ে হোটেলে ১০ থেকে ১২টি পর্যটক দলের বুকিং থাকছে।” |
|
|
 |
|
|
