|
|
|
|
ব্রিগেডের ভিড় ভোটে ফলবে, আশা মুকুলদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ব্রিগেডের বিপুল জনসমাবেশই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থাজ্ঞাপন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ভিড়ের প্রতিফলন আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের পক্ষেই যাবে বলে তাঁদের আশা। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় শুক্রবার দাবি করেন, “ব্রিগেডে যা ভিড় হয়েছে তা সর্বকালীন রেকর্ড। এটা হবে জানাই ছিল। মানুষ উজ্জীবিত। এই জনসমাবেশের উচ্ছ্বাস ভোটে তৃণমূলের পক্ষে যাবে। ব্রিগেডের পর তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বেড়ে গিয়েছে।” এলাকায় ফিরে দলনেত্রী যা বলেছেন তা মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে প্রচারের জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন মুকুলবাবুরা।
কেন তিনি এই দাবি করছেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ দিন মুকুলবাবু বলেন, “ব্রিগেডে বিপুল জনসমাবেশে আবার প্রমাণিত হয়েছে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজে সন্তুষ্ট। আস্থাশীল।’’ তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিধানসভা, লোকসভার উপনির্বাচন, পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল বিপুল সাফল্য পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের উপর মানুষের আস্থা বেড়েছে বলেই গত আড়াই বছরে যে কয়েকটি ভোট হয়েছে তাতে তৃণমূল সফল হয়েছে বলে জানান মুকুলবাবু।
বাংলার মানুষের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যের বাসিন্দা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও তৃণমূলের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। সেই কারণে ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামেও তৃণমূল বিস্তৃত হয়েছে। এমনকী, এ দিনও অসমের ইউনাইটেড মাইনরিটি ফ্রন্টের (ইউএম এফ) নেতা ও কর্মীরা সদলে তৃণমূলে যোগ দেন। তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে তাঁদের আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে স্বাগত জানান মুকুলবাবু। তাঁর কথায়, “অসমে আমাদের দলের বিধায়ক দীপেশ পাঠকের নেতৃত্বে ইউএমএফ সংগঠনটি পুরোপরি তৃণমূলে মিশে গেল।”
লোকসভার ভোটে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে এবং যে সমস্ত রাজ্যে সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেখানে দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা প্রচারে যাবেন। লোকসভা ভোটে দিল্লিতে প্রাধান্য বিস্তারের জন্য বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্যেই তাঁরা ভিন রাজ্যে প্রচারের কর্মসূচি নিচ্ছেন। তবে কবে থেকে প্রচার শুরু হবে তা স্থির হয়নি।
অবশ্য ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি চলোর ডাককে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। এ
দিন বিধাননগরে বামপন্থী একটি শিক্ষক সংগঠনের সভার অবসরে বিমানবাবু বলেন, “দিল্লি যাবেন, তাতে কী হয়েছে! সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দিল্লি যেতেই পারেন!” পাশাপাশি তাঁর আরও মন্তব্য,“আগে তো লোকসভা নির্বাচনে ৪২টা আসনে জিতে দেখাক, তার পরে দিল্লি, ফেডারেল ফ্রন্ট
দেখা যাবে।” |
|
|
|
|
|