|
|
|
|
রানিগঞ্জে এসএফআইকে বাধা, রিপোর্ট তলব মাজদিয়ায়
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বেশি আসনে জিতেও বর্ধমানের রানিগঞ্জ গার্লস কলেজে ছাত্র সংসদ দখলে রাখতে পারল না এসএফআই। টিএমসিপি-র বাধায় শুক্রবার তারা বোর্ড গড়তে কলেজে ঢুকতেই পারেনি বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা আদালতে যাবেন কি না, আলোচনা করে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান এসএফআই নেতৃত্ব। তবে এ দিনই নদিয়ার মাজদিয়া সুধীরঞ্জন লাহিড়ি কলেজে অবাধ ও মুক্ত ভোট হয়েছে কি না, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলাশাসককে তা তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। |
|
রানিগঞ্জ থানায় এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
রানিগঞ্জের কলেজটিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ছ’টিতে কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। বাকি ২৩টি আসনে ১৩-১০ ফলে জেতে এসএফআই। তাদের অভিযোগ, এ দিন বোর্ড গঠনের জন্য তাদের জয়ী প্রার্থীরা কলেজে যাওয়ার সময়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রাস্তায় আটকে দেয় টিএমসিপি-র লোকজন। কলেজে যেতে না পেরে তাঁরা রানিগঞ্জ থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে এক পুলিশকর্মী তাদের দুই নেত্রীকে হেনস্থা করেন বলেও এসএফআইয়ের দাবি। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাস বলেন, “বেশি আসন পেলেও ওই কলেজে বোর্ড গড়তে দেওয়া হল না আমাদের। সংগঠনে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।”
টিএমসিপি-র বর্ধমান জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র অবশ্য জানান, ভোটের পরে এসএফআইয়ের এক জয়ী প্রার্থী তাঁদের সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। এ দিন ১১ জনকে নিয়ে তাঁরা ছাত্র সংসদ গঠন করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, “এসএফআই-কে কোনও রকম বাধা দেওয়া হয়নি। ওদের আরও চার প্রার্থী ইতিমধ্যে টিএমসিপি-তে যোগ দিতে চেয়েছেন। তাঁদের ভয় দেখিয়ে এসএফআই কলেজে আসতে দেয়নি। বোর্ড গড়তে পারবে না বুঝেই ওরা থানায় গিয়ে গোলমাল পাকিয়েছে।” যদিও তাঁদের চার জন টিএমসিপি-তে যোগ দিতে চলেছেন, এ কথা তাঁর জানা নেই বলে জানান দেবজ্যোতিবাবু।
কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণা বর্মণ জানান, যে সব জয়ী প্রার্থী এ দিন কলেজে এসেছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বোর্ড গড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বোর্ড গঠন নিয়ে কলেজের আশপাশে প্রচুর পুলিশ ছিল। কলেজে যেতে বাধা দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশ চাডিয়ার। থানায় হেনস্থার অভিযোগও উড়িয়ে তিনি বলেন, “এ নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।”
মাজদিয়ার কলেজটিতে গত ১৬-১৭ জানুয়ারি তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে টিএমসিপি হামলা চালায় বলে এসএফআইয়ের অভিযোগ। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় টিএমসিপি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়নি অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েক জন ছাত্র। অভিযোগকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য একটি ভিডিও দেখিয়ে জানান, সেখানে দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত কিছু ছাত্রকে বিডিও করজোড়ে অন্য সংগঠনের প্রার্থীদের কলেজে ঢুকতে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তারা তা শুনছে না। বিকাশবাবু ওই কলেজে ফের ভোটের আবেদন জানান।
রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী সাধন রায়চৌধুরী জানান, আদালত তদন্তের অনুমতি দিক। তাতে অন্য সংগঠনের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি দেখা গেলে নতুন করে নির্বাচনের কথা ভাবা যেতে পারে। এর পরেই বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী নদিয়ার জেলাশাসককে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, “এখনও কোর্টের কোনও নির্দেশ হাতে পাইনি। পেলে উত্তর দেব।” |
|
|
|
|
|