সুন্দরবনের যাওয়ার পথে পর্যটকদেjর যেতে হয় ক্যানিং শহর হয়ে। মহকুমা সদর হওয়ায় জায়গাটির গুরুত্বও যথেষ্ট। নানা কারণে বহু মানুষ প্রতি দিন যাতায়াত করেন ক্যানিং শহরে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ক্যানিং মহকুমা শহরে আজও গড়ে উঠল না কোনও স্থায়ী বাস টার্মিনাস বা যাত্রী প্রতীক্ষালয়। যানজটে নাজেহাল সাধারণ বাসিন্দারা।
ক্যানিং শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে মহকুমাশাসকের দফতর, মহকুমাপুলিশ আধিকারিকের দফতর, থানা-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস। দিনের পর দিন শহরে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। বাসন্তী ও ক্যানিং সেতু তৈরি হওয়ার পরে সড়কপথে সুন্দরবন যাওয়ার রাস্তা অনেকখানি প্রশস্ত হয়েছে। |
থমকে শহর। ছবি: সামসুল হুদা। |
আগের বাসরুট চালু থাকার পাশাপাশি চালু হয়েছে নতুন নতুন বাসরুট। কিন্তু স্থায়ী বাস টার্মিনাস না থাকায় যাত্রীদের বাসে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করতে হয়। ধস্তাধস্তি, মারপিটের ঘটনাও ঘটে। তার উপরে যেখানে-সেখানে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় বাড়ছে যানজট। তাতে সাধারণ মানুষের যেমন সমস্যা হচ্ছে, সমস্যায় পড়ছেন বাস মালিকেরাও। ক্যানিং মহকুমার আইএনটিটিইউসির সম্পাদক সুশীল সর্দার বলেন, “বাস টার্মিনাস না থাকার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাস চালকদের। পুলিশের চোখরাঙানির সঙ্গে দোকানদের গালিগালাজও শুনতে হচ্ছে। ড্রাইভার, খালাসিদের জন্য কোনও শৌচালয়ও নেই।”
এত দিনেও কেন তৈরি হল না বাস টার্মিনাস? এ জন্য পূর্বতন বাম সরকারকে দায়ী করে ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশ দাস বলেন, “এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। শীঘ্রই টাকা অনুমোদন হয়ে যাবে।” ক্যানিংয়ের সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক রহুল গাজি বলেন, “আমরা মাতলা নদীর চরে বাস টার্মিনাস করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। নকশাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে ক্ষমতা চলে যাওয়ায় তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।’’ মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্যের বক্তব্য, “এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই টার্মিনাস তৈরি হয়ে যাবে।” |