|
|
|
|
নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে ধৃত পড়শি
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
যে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল খড়্গপুর গ্রামীণের পলশা এলাকার নাবালিকাটি, তাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সেই প্রতিবেশীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত পরেশ দুয়ারিকে শুক্রবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এ দিন ঘটনার তদন্তে এলাকায় গিয়েছিল কলকাতা থেকে আসা ফরেন্সিক দল। মেদিনীপুর মেডিক্যালে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভচকের ধানখেত থেকে ৮ বছরের ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বুধবার রাতে মুড়ি ভাজার সরঞ্জাম প্রতিবেশী পরেশের বাড়িতে ফেরত দিতে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ও দোষীর শাস্তি চেয়ে গ্রামবাসীরা সরব হন। কয়েক হাজার গ্রামবাসী দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা দেহ আটকে রাখেন। পরে পুলিশ কর্তারা এলাকায় যান। পুলিশ কুকুরও আনা হয়। রাতে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তদন্ত চলাকালীন পুলিশ কুকুর পরেশের গায়ের চাদর টেনে ধরায় সন্দেহ হয়েছিল। তারপরই তাকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, এরপর জেরায় ভেঙে পড়ে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি। পুলিশকে পরেশ জানায়, ঘটনায় সে জড়িত। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “আমাদের কুকুরটি পরেশ দুয়ারির গায়ে উঠে গিয়েছিল। তাছাড়া ধৃত নিজেও ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। আমরা ধৃতের বাড়ি থেকে একটি ধারালো অস্ত্র ও মুড়ির কুচি পেয়েছি।” ভারতীদেবী জানান, ঘটনার পুনর্নিমাণ করতেই ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে কলকাতার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ শিপ্রা রায়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী একটি দল এলাকায় যায়। সঙ্গে ছিলেন এসডিপিও সন্তোষকুমার মণ্ডল। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ও মাটির নমুনা, ৫০ ফুট দূরে পড়ে থাকা মদের বোতল ও একটি প্লাস্টিকের গ্লাস সংগ্রহ করেন। এ দিনই পুলিশ সুপারের আবেদনে দু’জন ফরেন্সিক (মেডিসিন) চিকিসক ও এক জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ড মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে। পুরো-পর্বের ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। |
|
|
|
|
|