|
|
|
|
কাউন্সেলিংয়ের পরেও প্রাথমিকে নিয়োগপত্র মেলেনি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাউন্সেলিং হয়ে গিয়েছে। তবু নিয়োগপত্র মেলেনি! চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ‘টেট’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েকশ ভাবী শিক্ষক। এই চিত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউন্সেলিংয়ের জন্য রাজ্য থেকে ১৮০৯ জনের তালিকা পাঠানো হলেও সকলকে চাকরি দেওয়ার জন্য অর্থ দফতরের উপযুক্ত অনুমোদন নেই। তাই নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। নিয়োগপত্র দিলেই সফল পরীক্ষার্থীরা চাকরিতে যোগ দেবেন। কিন্তু অর্থ দফতরের অনুমোদন না পেলে বেতন দেওয়া যাবে না। তাহলে অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে কাউন্সেলিং হল? সংসদ সভাপতির কাছে এর সদুত্তর মেলেনি। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি স্বপন মুর্মু শুধু বলেন, “রাজ্য থেকে যে তালিকা এসেছিল তা থেকেই আমরা কাউন্সেলিং করেছি। পরে জানতে পারি কিছু পদের ক্ষেত্রে অর্থ দফতরের অনুমোদন নেই। তা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েও দিয়েছি। আশা করি, শীঘ্রই অনুমোদন মিলবে। তারপরই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে ১৮৭১টি। তবে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১৮০৯ জন। গত ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি তিনদিন ধরে কাউন্সেলিং হয় মেদিনীপুর শহরের কলেজিয়েট বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে ১৫৫৫ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাদ পড়া ২৫৪ জনের মধ্যে ১৮৯ জন কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৬৫ জন পরীক্ষায় পাশ করলেও সরকারি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হন। যেমন উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকা, বয়স বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি। কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দিন অর্থাৎ ২১ তারিখ সকলকেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনেও কিছু ক্ষেত্রে তেমন ঘটনা ঘটে। তারপরই চিত্রটা বদলে যায়। সফল পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথমে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৫ তারিখ নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। সে দিনও সকলে ভিড় জমান। কিন্তু অল্প কয়েকজনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার পরেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কী কারণে নিয়োগপত্র দেওয়া বন্ধ করা হল সংসদের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু বলা হয়, বাকিদের ডাকযোগে নিয়োগপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু কারও নিয়োগপত্র ছাড়া হয়নি বলে ডাক বিভাগ সূত্রে জানতে পারেন ভাবী শিক্ষকেরা। তারপরই সংসদ অফিসে বিষয়টি জানার জন্য ভিড় করতে থাকেন। অভিযোগ, সংসদ অফিসে হাজির হলেও তাঁদের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিষ্কার করে কিছু জানানো হচ্ছে না। ফলে, দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
সংসদ অবশ্য জানিয়েছে, ১৫৫৫ জনের মধ্যে ৪৯৪ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। এই ৪৯৪ জনের মধ্যে ৪৪৩ জনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত অনুমোদন নেই। বাকিদের ক্ষেত্রে অন্য সমস্যা রয়েছে। কারও শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, কারও উপযুক্ত নথি নেই। সেগুলি দিলেই নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে। তবে ৪৪৩ জনের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। |
|
|
|
|
|