খনি-মৃত্যুতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করায় ক্ষুব্ধ এনজিটি

৩১ জানুয়ারি
ছর দুয়েক আগে কয়লা খনিতে আটকে পড়া ১৫ জন খনি-শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করতে না পারায় মেঘালয় সরকার ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) কড়া সমালোচনা করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি)। ২০১২ সালের ৬ জুলাই দক্ষিণ গারো পাহাড়ের নাঙালবিবরায় কয়লা খনিতে কাজ চলাকালীন খনির দেওয়াল ধসে পাহাড়ি নদীর জল খনির ভিতরে ঢুকে পড়ে। খনির ভিতরে কর্মরত ৩০ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৫ জন বের হতে পেরেছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও এনডিআরএফ সপ্তাহভর অভিযানেও বাকি দেহগুলিকে ভিতর থেকে বের করতে পারেনি। শেষ অবধি অভিযান পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। এমন কী আজ অবধি ভিতরে আটকে পড়া নয় শ্রমিকের পরিচয়ও জানা যায়নি।
ওই দুর্ঘটনার পরে হাইকোর্টের তরফে ঘটনাটি নিয়ে প্রথম সুয়োমটো মামলা করা হয়। সেই মামলা প্রসঙ্গেই এনজিটি শিলং হাইকোর্টে শুনানির আয়োজন করে। রাজ্য সরকার জানায়, ভিতরে আটকে থাকা ৬ জনের নামের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সকলেই অসমের ফকিরগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের ‘নিখোঁজ’ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার, এনডিআরএফ এবং পুলিশের দেওয়া সব তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে এনজিটি বেঞ্চ জানায়, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য এনডিআরএফ ও রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত চেষ্টাই করা হয়নি। ১৫ জন মানুষ খনিতে আটকে পড়েছেন জেনেও খনির ভিতর বিপজ্জনক হওয়ার দোহাই দিয়ে উদ্ধার অভিযান শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। বিচারকরা এনডিআরএফ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্টকে নির্দেশ দেন, খনিতে ফের তল্লাশি চালাতে হবে। যদি কেউ ভিতরে আটকে থাকেন তবে এতদিনে তাঁদের কঙ্কাল ভিতরেই থাকার কথা। তা উদ্ধার করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে ৪ এপ্রিল, পরের শুনানির দিন এনডিআরএফকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মেঘালয় সরকারকে বলা হয়েছে, নামনি অসমের সংবাদপত্রে অসমিয়া ও বাংলা ভাষায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘নিখোঁজ’ হওয়া ছ’জনের ব্যাপারে সন্ধান চালাতে হবে। পাশাপাশি, খনির ভিতরে যদি কারও পরিবারের সদস্য আটকে থাকেন বলে জানা যায়, সেই পরিবারের প্রতিনিধিকেও ৪ এপ্রিলের শুনানিতে হাজির হতে আবেদন জানাতে হবে। খনির মালিক, ঠিকাদার তথা স্থানীয় গ্রামের গ্রাম প্রধানকেও ঘটনার দিন কর্মরত ও আটকে পড়া সব শ্রমিকের নাম ও ঠিকানা পরের শুনানিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার এক মাস আগে মেঘালয় সরকার তাদের খনি নীতি ঘোষণা করে। কিন্তু এখন অবধি মেঘালয়ে অবৈধ খনির রমরমায় কেউ নীতির পরোয়া করে না। গত বছরও খনির ভিতরে ঘটা বিভিন্ন দুর্ঘটনায় বহু কয়লা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মেঘালয় সরকার গ্রিন ট্রাইবুনালকে এও জানায়, দক্ষিণ গারো হিল জেলার জেলাশাসক ২০১৩ সালের ২০ মে ১৩৩ ধারার অধীনে জেলায় খননকার্য বন্ধ রাখতে বলেছেন। যে রায় এখনও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে রায়ের তোয়াক্কা না করেই চলছে খনন। আর সরকার উদাসীন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.