নিজে অনশনে বসেই ‘দিদি’র অনশনকে কটাক্ষ করলেন ‘বৌদি’!
রায়গঞ্জে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতালের দাবি, ধর্ষণ এবং টেট-কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুরে ময়দানে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি।
অনশনে সামিল আরও জনাচল্লিশেক কংগ্রেস কর্মী। সিঙ্গুরে ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকদের জমি ফেরতের দাবিতে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ২০০৭ সালে ২৬ দিন অনশন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনশনের উল্লেখ করেই বৃহস্পতিবার ব্রিগেডে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মমতা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, কেউ পারলে অনশন করে দেখাক! |
যার প্রেক্ষিতে এ দিন অনশন-মঞ্চ থেকে দীপার প্রতিক্রিয়া, “শারীরবিজ্ঞানের নিয়ম মানলে টানা ২৬ দিন অনশন করা সম্ভব নয়। আপনি (মমতা) দাবি করছেন, ২৬ দিন অনশন করেছেন। কী ভাবে করেছেন, জানি না!”
রায়গঞ্জের সাংসদ দীপা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “কেন আপনি রায়গঞ্জে ইচ্ছুক কৃষকদের জমি নিয়ে সেখানে হাসপাতাল গড়তে দিচ্ছেন না, কেন ধর্ষিতাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না, কেন টেট-এ স্বজনপোষণ করে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করছেন, তার জবাব না পাওয়া না পর্যন্ত এখান থেকে এক পা-ও সরব না!” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপার অনশন চলাকালীনই আজ, শনিবার শহরে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের। যার ফলে অনশন কর্মসূচি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
দীপার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সঙ্কীর্ণতা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জে হাসপাতাল গড়তে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সোমেন মিত্র। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য পাল্টা বলেছেন, “রায়গঞ্জের মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকলে সেখানেই অনশন করতেন! গাঁধীমূর্তিতে কেন?” পার্থবাবুর বক্তব্য, রাজ্যে এইম্স হওয়া জরুরি এবং রাজ্য সরকারই তার জায়গা ঠিক করবে। এর মধ্যে রাজনীতি টানা অর্থহীন।
ব্রিগেডে কংগ্রেসের প্রতি মমতার আক্রমণের জবাব দিতেও এ দিন অনশন-মঞ্চকে ব্যবহার করেছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা শাকিল আহমেদ খান। তাঁর মন্তব্য, “স্বাধীন ভারতে গণতন্ত্র চলছে। রাজতন্ত্র আগেই শেষ হয়েছে! ইতিহাসটা মমতা ভুলে গিয়েছেন হয়তো!” |