একমাস আগেই সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প (আইসিডিএস) বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন বর্ধমান জেলার মহিলারা। কিন্তু নিয়মের বড়সড় দু’টি পরিবর্তনে পরীক্ষার ফল বেরোনোর মুখেই পরীক্ষা বাতিল বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করল জেলা আইসিডিএস দফতর।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা পদের জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হচ্ছে এবং আগামী ৯ মার্চ ফের ওই দুটি পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে (স্মারক সংখ্যা- ১০৬ (২০) সিডিএস/ বর্ধমান, তারিখ ২৪/১/২০১৪)। এ দিকে, ৯ মার্চ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকতার জন্য টেট পরীক্ষা হওয়া কথা। ফলে ওই দিন কী ভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে? জানা গিয়েছে, জেলা নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি সেই জন্য ২ মার্চ পরীক্ষা নেবে বলে দিন ঠিক করেছে। কিন্তু তখন আবার মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে স্কুলগুলিতে। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরীক্ষার জন্য স্কুল পাওয়া সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
জেলা আইসিডিএস দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ ও ২৯ ডিসেম্বর বর্ধমান জেলায় দু’দফায় অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। জেলায় ৩৯টি প্রকল্প আধিকারিকের নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৯২০০টি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে মাত্র ৩০২টি কেন্দ্রের জন্য অঙ্গনওয়ারি কর্মী ও ৮৮৪টি কেন্দ্রের জন্য অঙ্গনওয়ারি সহায়িকা পদে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা পর্ব মেটার পরে ৩০ ডিসেম্বর আইসিডিএস দফতরে সরকারি ভাবে নির্দেশ আসে, প্রার্থীদের বয়সের সর্বোচ্চসীমা ১০ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ বছর। পাশাপাশি, অঙ্গনওয়ারি সহায়িকা পদের প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা মানেরও পরিবর্তন হয়। নতুন নিয়মে মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের বদলে অষ্টম শ্রেণির উত্তীর্ণ হলেই অঙ্গনওয়ারি সহায়িকা পদের জন্য পরীক্ষায় বসতে পারবেন প্রার্থীরা।
সরকারি এই নির্দেশ জারি হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর (সরকারি আদেশনামা ৪০৩৯/এস ডব্লু/ ৩-এস ২২৫/০৫ (পি টি- টু)। তাহলে ২৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হল কেন? আইসিডিএস দফতরের আধিকারিক তথা জেলা প্রোগ্রাম অফিসার প্রভাসচন্দ্র রায় বলেন, “আমরা সরকারি ভাবে এই নির্দেশটি হাতে পেয়েছি ৩০ ডিসেম্বর। তারপর জেলা নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি।” |
