টেট পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল পরিদর্শকের দফতরের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল যুব কংগ্রেস। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (এসআই) কুলটি শিক্ষাচক্রের দফতরে। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা খুললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
যুব কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ যুব কংগ্রেসের সমর্থকেরা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ডেপুটেশন দিতে যান। কিন্তু দফতর থেকে তাঁদের জানানো হয়, কোনও আধিকারিক না থাকায় ডেপুটেশন নেওয়া যাবে না। এর পরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। স্কুল পরিদর্শক দফতরের কর্মীদের জোর করে দফতর থেকে বের করে দেন যুব কংগ্রেস সমর্থকেরা। তার পরে দফতরের দরজা বন্ধ করে নিজেদের সংগঠনের পতাকা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। |
বিক্ষোভ যুব কংগ্রেসের। —নিজস্ব চিত্র। |
এর ফলে কর্মীদের প্রায় কয়েক ঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে বিশাল বাহিনী নিয়ে কুলটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যুব কংগ্রেস সমর্থকদের হটিয়ে দরজা খুলে দেয়। এর পরে যুব কংগ্রেস পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের ডেপুটেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানাতে থাকে। অবশেষে পুলিশের চেষ্টায় স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশে একজন কর্মী ডেপুটেশন জমা নেন।
শুক্রবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়। সরকারি দফতরে তালা লাগিয়ে কোনও আন্দোলন করা অগণতান্ত্রিক। তা হলে এই ভাবে আন্দোলন করা হল কেন? যুব কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “এ দিন ডেপুটেশন দেওয়ার কথা কয়েক দিন আগেই ওই দফতরের স্কুল শিক্ষা পরিদর্শককে জানিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও এ দিন তিনি দফতরে হাজির ছিলেন না।” ওই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটি শিক্ষা চক্রের এস আই নুর আলি এ দিন অসুস্থ থাকায় দফতরে আসেননি। তাঁর পরিবর্তে উত্তম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি দফতরের অস্থায়ী দায়িত্বে ছিলেন। তিনি অন্য একটি শিক্ষা চক্রের স্থায়ী এসআই। সেখানে কাজ থাকায় এ দিন তিনি কুলটিতে আসতে পারেননি। |