কোচবিহারে নিজেদের ব্রিগেড সভার প্রচার শুরু করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার তুফানগঞ্জে বামেদের ডাকা ৯ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সভার সমর্থনে কোচবিহার শহরে মিছিল করেন এলাকার সিপিএম নেতাকর্মীরা। শহরের মোজাফ্ফর ভবন থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তমসের আলি, মহিলা নেত্রী জবা পাল, প্রাক্তন সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস প্রমুখ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনই আগামী মাসে বামেদের ডাকা ব্রিগেড সভার সমর্থনে আয়োজিত ওই মিছিলে সমর্থকদের ভিড় দেখে সিপিএম উৎসাহিত। জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের ব্রিগেড সভায় যেতে রাজি না হওয়ায় তুফানগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বাম কর্মীসমর্থকদের শাসক দলের নেতাকর্মীরা হুমকি দিয়েছেন। কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তমসের আলি বলেন, “তৃণমূলের ব্রিগেড সভায় না যাওয়ায় তুফানগঞ্জ জুড়ে আমাদের সমর্থকদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় আমাদের কর্মী সমর্থকদের একশো দিনের কাজ প্রকল্পেও সুযোগ না দেওয়ার ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেও এদিনের মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে। গোটা ঘটনা জানিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছি।” তুফানগঞ্জের বেশ কিছু ইট ভাটাতে কাজ বন্ধ করিয়ে শ্রমিকদের তৃণমূল নেতারা জোর করে দলীয় ব্রিগেড সভায় নিয়ে যায় বলে সিপিএম নেতারা দাবি করেছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, সিপিএমের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে, আর এক কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বয়কট, মারধর, কাজ বন্ধ করার রাজনীতি সিপিএমের পুরনো অভ্যাস। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে যাবতীয় অভিযোগ করা হচ্ছে। কাজ বন্ধ করা হয়ে থাকলে ওরা সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা দিন ওঁরা।” |