বরাদ্দ থাকলেও দুপুর ও রাতের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা এপিএল রোগীরা। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু-চার মাস নয়, ২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকেই বন্ধ রয়েছে এপিএল রেগীদের জন্য বরাদ্দ খাবার। কেন বন্ধ রয়েছে তা জানতে চেয়ে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের কর্মাধক্ষ্য উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। বললেন, “আমি গত নভেম্বর মাসে জেলা রোগীকল্যাণ সমিতির যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে এই বিষয়টি সকলের নজরে আনি। ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দারিদ্র সীমার নীচে থাকা রোগীরাই সকালের জলখাবার, দুপুর ও রাতের খাবার পান। বিধি রয়েছে, এপিএল রোগীরাও অর্ধেক দামে এই খাবার পাবেন। কিন্তু এই মর্মে হাসপাতালের কোথাও কোনও নির্দেশিকা চোখে পড়ে না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এপিএল রোগীদের জন্য এই খাবার চালু রাখার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করতে হত, তার ঝামেলা এড়ানোর জন্যই এই খাবার বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। স্বাস্থ্য দফতরকে এপিএল রোগীদের জন্য খাবার চালু করতে বলা হয়েছে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “নানা সমস্যায় এতদিন দারিদ্র সীমার নীচে থাকা রোগীদের খাবার বন্ধ ছিল। হাসপাতালের সুপারকে দ্রুত তা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জনা সেন ওই ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন। সকলে যাতে বিষয়টি জানতে পারেন, সে জন্য হাসপাতালে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।” |