এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি অথবা মহকুমাস্তরে উন্নীত করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীর কাছে এমনই প্রস্তাব রাখলেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
বৃহস্পতিবার সবংয়ের অনাথ বন্ধু অডিটোরিয়ামের সামনে প্রতিবন্ধীদের জন্য সরঞ্জাম বিলির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে বিধায়কের প্রস্তাব শুনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী নিজে যান সবং গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে। |
সবং হাসপাতালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও সস্ত্রীক মানস ভুঁইয়া।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন রাষ্ট্রীয় অস্থি বিকলাঙ্গ সংস্থার অর্থানুকুল্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই প্রতিবন্ধীদের ৩৪ জনকে তিন চাকা সাইকেল, ৩৭ জনকে হুইল চেয়ার, ২৪ জনকে ক্র্যাচ, ৩৫ জনকে ওয়াকিং স্টিক ও ৯২টি শ্রবণ যন্ত্র বিলি করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজর্ষি দাস, জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ ভুঁইয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সামনেই মানসবাবু বলেন, “আমাদের গ্রামীণ হাসপাতালের যে অবস্থা, তাতে অবিলম্বে এটিকে সুপার স্পেশালিটি বা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করা উচিত। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই প্রস্তাব রাখছি।” তিনি এরপর বলেন, “এর জন্য হাসপাতালের ১০ একর জমি রয়েছে। এর পরেও যদি জমি প্রয়োজন হয়, তা হলে বসত বাড়ি ছাড়া আমার আর যা জমি আছে তা আমি হাসপাতালকে দান করব।” যা শুনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী প্রতিক্রিয়া, “রাজ্য থেকে কেন্দ্রের কাছে হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব গেলে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব।”
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নীতকরণের পর ৪০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে সবং হাসপাতালকে ৬০ শয্যার করার কাজ চলছে। গ্রামীণ হাসপাতাল হওয়ার পরও ৮ চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন, ২১ জন নার্সের জাগায় আছেন ১৭ জন নার্স। এ ছাড়াও ২০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে থাকলেও আছেন ১১ জন। সাফাই কর্মীদের ৭ জনের বদলে আছেন ৪ জন।
এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে মানছেন চিকিৎসকরাও। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজর্ষি দাস জানান, “এই হাসপাতালে তিনটি ব্লকের রোগীর চাপ রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে খুব ভাল হবে।” |