সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে দু’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। পুলিশ সূত্রের খবর, জখম দুই বন্দির মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর নাম উমেশ দাস। অন্যজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর নাম মঙ্গল থাপা। দু’জনেই খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। ভর দুপুরে কেমন করে ওই ঘটনা ঘটল সেই বিষয়ে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। যদিও ঘটনার পরে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আধিকারিক রাজীব রঞ্জন বলেন, “বিভাগীয় তদন্ত করে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। এখনও স্পষ্ট কারণ জানা সম্ভব হয়নি।”
কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ সংশোধনাগারের রান্না ঘরের ভিতরে ও বাইরে দুই বন্দিকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অন্য বন্দিদের কয়েকজন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। সংশোধনাগারের আধিকারিকরা জানান, তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন রান্না ঘরের ভিতরে উমেশ পড়ে কাতরাচ্ছে। পেট দিয়ে রক্ত ঝরছে। বাইরে মঙ্গলকে গলায় জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। দুজনকে প্রথমে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উমেশকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। রান্না ঘরের কিছু ধারাল কিছু দিয়ে তারা সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে বলে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান।
খবর পেয়ে যান সংশোধনাগার কমিটির সরকারি প্রতিনিধি মনোতোষ রায়। খুনের ঘটনায় সাজা প্রাপ্ত ওই দুই বন্দি কেমন করে রান্না ঘরে গেল বা কীভাবে তারা ধারালো কিছু কোথায় পেল তা নিয়ে তিনিও প্রশ্ন তোলেন। সংশোধনাগারের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ওই দুজনের রান্না ঘরে যাওয়ার কথা নয়। কীভাবে কী হল তা দেখা হচ্ছে। পরে মনোতোষবাবু বলেন, “বিষয়টি আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য বিভাগীয় তদন্ত হবে।” |