মুখে কেরোসিন ঢেলে এক কিশোরীর মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তিন বধূকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ফালাকাটা কুঞ্জনগর গ্রামে। গ্রেফতার তিন জন সম্পর্কে ওই জখম কিশোরীর দিদির জা। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে ফালাকাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মুখের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। ফালাকাটা থানার আইসি ধ্রুব প্রধান বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত চলছে।”
ওই কিশোরীর বাবা জয়নাথ ঠাকুর চৌকিদার। জখম কিশোরী তিন বোন। সাত মাস আগে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে তার মেজদির বিয়ে হয়েছে। দুই পরিবারে বিয়ে নিয়ে অশান্তি চলছিল বলে অভিযোগ। চার দিন আগে জখম কিশোরীর সঙ্গে দিদির তিন জায়ের ঝগড়া হয়। তারা সে সময় কিশোরীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।
কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বুধবার রাতে মুদিখানা থেকে সরষের তেল কিনতে মেয়ে যায়। দোকানে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীর দিদির তিন জা রত্না ঋষি, পিঙ্কি ঋষি এবং কমলা ঋষি মেয়েকে ধরে রাখে। তার পরে বাড়ি থেকে কেরোসিন এনে মুখে ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। কিশোরীর চিৎকারে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার পুড়ের কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জখম কিশোরী এই দিন জানায়, দিদির বিয়ে নিয়ে ওই বাড়ির সঙ্গে বেশ কিছু ঝামেলা চলছিল। তিন দিন আগে আমার বিরুদ্ধে ওরা নানা মিথ্যা অপবাদ দেয়। তার প্রতিবাদ করলে ওরা গালিগালাজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তবে তার পরে ওরা এমন করবে ভাবতেই পারছি না। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিন অভিযুক্ত। তাদের একজন রত্না দেবীর কথায়, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কি ভাবে মেয়েটির মুখ পুড়েছে তা আমরা জানি না। আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।” কিশোরীর দিদি মঞ্জু বলেন, “সে সময় কি হয়েছিল জানি না। আমাদের সংসারে বিবাদ নেই। ভাল ভাবেই সংসার করছি।” |