রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বুকিং নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে। বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের তরফে শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পৌঁছেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের কাছেও।
গ্রাহকদের অনেকেরই অভিযোগ, এসএমএস মারফত বুকিং করার পরেও তিন সপ্তাহের আগে সিলিন্ডার দেওয়া সম্ভব নয় বলে ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। অথচ শহরের অন্য অন্য গ্যাস সরবরাহকারীরা বুকিংয়ের তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই সিলিন্ডার সরবরাহ করছেন। তাই ‘স্ফুলিঙ্গ’ নামের ওই সরবরাহকারী সংস্থার কাজ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন গ্রাহকেরা। ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থার তরফে শিলিগুড়ির আঞ্চলিক ম্যানেজার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। ‘স্ফুলিঙ্গ’ নামের ওই সরবরাহকারী সংস্থার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রাহকদের ঘোরানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না।” অভিযোগ সত্যি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সব্যসাচীবাবু।
যদিও ‘স্ফুলিঙ্গ’ নামের ওই সরবরাহকারী সংস্থার মুখপাত্র সুবীর পাল দাবি করেন, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের সরবরাহ অপ্রতুল থাকার কারণেই সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরাও কথা বলছি। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সিলিন্ডার আমরা পাচ্ছি না।” তবে এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা কৌশিক সরকার জানান, তাঁদের অধিকাংশ সদস্যই বুকিংয়ের তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করছেন। কেন ওই সংস্থাটি গ্যাস সরবরাহ করতে ১৮-২০ দিন সময় লাগবে বলে দাবি করছে তা-ও খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি। উপরন্তু, ওই সংগঠনের সদস্যদের একাংশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডারের কালোবাজারি হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখুক ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ। ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থার শিলিগুড়ির আঞ্চলিক ম্যানেজার সব্যসাচীবাবুর আশ্বাস, “কালোবাজারি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |