জখম ৬২ |
আসা-যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা ও চুঁচুড়া |
ব্রিগেডে দলীয় সমাবেশে যাতায়াতের পথে পাঁচটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই তৃণমূল কর্মীর। জখম হয়েছেন অন্তত ৬২ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা, তৃণমূল কর্মী লক্ষ্মণ সিংহ সর্দার (৪৪) বুধবার রাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ব্রিগেড যাওয়ার জন্য একটি গাড়িতে রওনা হন। পথে খাওয়ার জন্য বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানা এলাকার একটি ধাবার সামনে গাড়িটি থামানো হয়। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি গাড়ি লক্ষ্মণবাবুকে ধাক্কা মেরে পালায়। গুরুতর জখম লক্ষ্মণবাবুকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রিগেডের সভা থেকে ম্যাটাডোরে করে বাড়ি ফেরার সময়ে বাসন্তী রোডের উপর হাড়োয়ার ঘোষপাড়ায় একটি বাসের সঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অরবিন্দ সর্দার (২৭) নামে এক জনের। তাঁর বাড়ি সন্দেশখালি থানার ন্যাজাটের গাঙধার পাড়ায়। আরও দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। |
|
ভিড়ের চাপে অসুস্থ এক তৃণমূল সমর্থক। বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত ভৌমিকের তোলা ছবি। |
ওই রাতেই আর একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে হুগলির বলাগড়ের নাটাগড় এলাকায় অসম লিঙ্ক রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, নবদ্বীপের চর স্বরূপগঞ্জ থেকে ৪০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক একটি বাসে করে ব্রিগেড যাচ্ছিলেন। অসম লিঙ্ক রোডে একটি বাঁকের মুখে ঘন কুয়াশার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের গাছে ধাক্কা মারে। চালক ও খালাসি-সহ ১৮ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে সাত জনকে জিরাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং ১১ জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দুর্ঘটনার পরে কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক নবদ্বীপে ফিরে যান।
চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাসটির চালক বরুণ বাগ। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। তিনি বলেন, “প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য একটি বাঁকের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
এই জেলার ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মেমারি থেকে একটি ছোট ট্রাকে করে জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ব্রিগেডে যাচ্ছিলেন। সামনের ডান দিকের চাকা ফেটে যাওয়ায় ট্রাকটি উল্টে যায়। চালক-সহ ১২ জন আহত হন। তাঁদের চণ্ডীতলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
|
ব্রিগেডে মিটিং হবে। তাই গ্রাম উজিয়ে জেলা এল মহানগরে।
বৃহস্পতিবার সকালে ধর্মতলার মোড়ে দেবস্মিতা চক্রবর্তীর তোলা ছবি। |
আবার সন্ধ্যায় ব্রিগেড থেকে ফেরার পথে এই জেলারই হরিপালের গজার মোড়ের কাছে ঝাউতলা এলাকায় কামারপুকুরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একটি বাস উল্টে যায় নয়ানজুলিতে। তাতে কয়েক জন মহিলা-সহ প্রায় ৩০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছে। অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্ত। |
|