৬৪ বছর পার, হাইকোর্টে ঝুলেই মামলা
পেরিয়ে গিয়েছে ৬৪ বছর। তবু নিষ্পত্তি হয়নি মামলার!
১৯৫০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মানিকচাঁদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি তাঁর ছেলেদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করার জন্য মামলা করেন। তা এখনও চলছে। বর্তমানে মামলা লড়ছেন ৬৮ বছরের রবীন মল্লিক। ইনি চতুর্থ প্রজন্ম। মামলা লড়তে লড়তে রবীনবাবুর বাবা সন্তোষ মল্লিক মারা যান, তার আগে মারা গিয়েছেন সন্তোষবাবুর বাবা দুলালবাবু এবং তাঁর বাবা মানিকবাবুও।
আবেদনকারীর আইনজীবী অয়নাভ রাহা বলেন, “কিছু দিন আগে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলার একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছেন। ২৭ নম্বর মদন বড়াল লেনে রবীনবাবুদের বাড়ি। সেই বাড়ি নিয়ে মামলার অন্য পক্ষ ভগবত্‌ মল্লিক, আর একটি পক্ষ বাড়ির অধিষ্ঠাত্রী দেবী অন্নপূর্ণার মন্দিরের। ১৯৫০ সালে বিচারপতি জে কে মিত্রের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। তার পরে ১৮ জন প্রধান বিচারপতি বদলি হয়েছেন অথবা অবসর নিয়েছেন। মামলা শুরুর সময়কালে বাড়ির ঠিকানায় লেখা হত ‘টাউন অব ক্যালকাটা’।”
আদালত সূত্রে খবর, মামলা শুরু হয়েছিল অন্নপূর্ণার মন্দির ও অন্যান্য সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে। তত্‌কালীন হাইকোর্ট অন্নপূর্ণার মন্দিরকে ‘দেবোত্তর স্টেট’ বলে ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয়, এই মন্দিরের কোনও উপার্জন বাড়ির কাজে লাগানো যাবে না। তা জমা থাকবে। সেটা দেখাশোনা করার জন্য হাইকোর্ট এক জন রিসিভারও বসায়।
তাঁর মৃত্যুর পরে আবার নতুন রিসিভার এসেছেন।
সম্প্রতি রবীন মল্লিক হাইকোর্টে এসে জানান, অন্নপূর্ণার মন্দিরের ভগ্নদশা। এখনই মেরামত করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও, ওই মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে এক ভাড়াটে রয়েছেন। তাঁকে উচ্ছেদ করা দরকার। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (বর্তমানে সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচার্য বিষয়গুলি দেখছেন যিনি) রায় দিয়ে জানান, মামলার রিসিভার ওই মন্দির মেরামতের জন্য জমা টাকা থেকে খরচ করবেন আর আইনগত ভাবে ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে আদালতে জমে থাকা মামলার সংখ্যা প্রায় চার লাখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.