মহিলা বনকর্মী না থাকায় মহিলা কাঠ চোরদের রুখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বন দফতরকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলে গাছ কাটার সময় বা জঙ্গল থেকে কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বন কর্মীরা সমস্যায় পড়ছেন। মহিলা কাঠ চোরেদের ধরে রেঞ্জ বা বিট অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য মহিলা বনকর্মী না থাকার সুযোগ নিয়ে মহিলাদের দিয়ে রমরমিয়ে কাঠ চুরি চলছে।
রাজ্যের বন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এই প্রসঙ্গে বলেন, “বনকর্মীর সংখ্যা এমনিতেই কম। তার উপরে মহিলা বন কর্মী নেই। এ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সমস্যা হচ্ছে। শীঘ্রই ২০০ জন বনকর্মী নিয়োগের কথা। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে মহিলা বনকর্মী নিয়োগ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিমতি, রায়মাটাং, রাজাভাতখাওয়া, তুরতুরি কুমারগ্রাম, ফাঁসখাওয়া সহ নানা এলাকায় প্রতি দিন একই ছবি দেখা যাচ্ছে। |
লাগোয়া চা বাগান-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে মহিলারা কোমরে দাঁ গুঁজে ঢুকে পড়েছেন জঙ্গলে। সাত থেকে দশ ফুট লম্বা ছোট গাছ থেকে বড় গাছ কেটে নিচ্ছে তারা। বন কর্মীরা টহল দেওয়ার সময় তাদের দেখতে পেলেও গ্রেফতার করতে পারছেন না। উল্টে ধরার পর মহিলা বনকর্মী না থাকায় সুযোগে কাঠচোরেরা শ্লীলতাহানির অভিযোগের হুমকি দিচ্ছেন। বিপাকে পড়ছেন পুরুষ বন কর্মীরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেছেন, “পুরুষদের বনকর্মীরা ধরতে পারেন। তবে বনে জ্বালানি সংগ্রহের নামে চা বাগান ও জঙ্গলের পাশের গ্রামগুলির মহিলা কাঠ চোরকে আটকানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি জানান, বন কর্মীরা মহিলা কাঠ চোরেদের ধরে গ্রেফতার করতে পারেন না। এর সুযোগটাই নেওয়া হচ্ছে। বকাঝকা করলেই উল্টে হুমকি দেওয়া হয়। পরিবেশ প্রেমী সংগঠন আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাব চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা চলছে। বন দফতরের উচিত দৈনিক হাজিরার ভিক্তিতে মহিলা বন কর্মী রেঞ্জ এবং বিট অফিসে রাখা। তাতে সমস্যা মিটবে বলে মনে হয়।” |