|
|
|
|
ভোটের মুখে ওবিসি রাজ্যের ৩৭ শ্রেণি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৩০ জানুয়ারি |
লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের মন পেতে রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ৩৫টি শ্রেণিকে আজ কেন্দ্রীয় অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করল মনমোহন সিংহ সরকার।
মৌসম বেনজির নুর, মান্নান হোসেন-সহ রাজ্যের সংখ্যালঘু কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরফেও জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের কাছে এই দাবি জানানো হয়। তার পর কমিশনের সুপারিশে আজ চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মোট ১৩টি রাজ্য থেকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে আজ কেন্দ্রীয় অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় স্থান দিয়েছে কেন্দ্র। ভোটের আগে যা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকেই। দেশব্যাপী যে ১১৫টি শ্রেণিকে কেন্দ্রীয় অনগ্রসর শ্রেণির তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩৭টি শ্রেণিই পশ্চিমবঙ্গের।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায়ের যে ৩৫টি শ্রেণি ওবিসি তালিকার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে সেগুলি হল হজ্জাম, চৌধুলি, নিকারি, মহালদার, ধুকরে, বাসনি/বসনি, আবদাল, কান, টুটিয়া, গায়েন, বেলদার, খোট্টা, সরদার, কলনদার, লস্কর, জমাদার, মুসলিম ছুতোর মিস্ত্রী, দফাদার, মাল, মাঝি/পাটনি, মুচি, নেহারিয়া, সাঁপুই, বিশ্বাস, মালি, ঘোসি, দরজি/ইদ্রিশি, রাজমিস্ত্রী, ঢালি, পেয়াদা, বারুই এবং পেঁচি। হিন্দুদের দুই শ্রেণি গাঙ্গোত ও দেবাঙ্গ-ও ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আজ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ সমাজের একটা বড় অংশের অনগ্রসরতা দূর করতে সাহায্য করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।” তাঁর কথায়,“ক্রিমি লেয়ার ব্যতিরেকে এই সব শ্রেণির মানুষরা এ বার কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় সুবিধে পাবেন। একই ভাবে উচ্চ শিক্ষাতেও তাঁরা সংরক্ষণের সুবিধে পাবেন।”
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে উল্লসিত পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু নেতা নেত্রীরাও। কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নুর বলেন, “সংখ্যালঘুদের আর্থ সামাজিক কল্যাণে কংগ্রেস বরাবরই ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের একটা বড় অংশের অনগ্রসরতা কাটাতে সাহায্য করবে।” |
|
|
|
|
|