|
|
|
|
মা-মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা, ফেরার স্বামী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
৩০ জানুয়ারি |
আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক মহিলা ও তাঁর দেড় বছরের কন্যা সন্তানের। আজ ভোর রাতে দুমকার জারমুণ্ডি থানা এলাকার ঝাকিয়া গ্রামের এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত অনু দেবী (২২) ও তাঁর দেড় বছরের কন্যা কাজল কুমারীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে। বাড়ির বউকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে পুলিশ মৃতার শ্বশুর মহেন্দ্র মাসাদ ও শাশুড়ি বিমলি দেবীকে গ্রেফতার করেছে। মহিলার স্বামী গুঞ্জন মাসাদ ফেরার।
তদন্তকারী অফিসাররা জানান, তিন বছর আগে অনুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গুঞ্জনের। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হত। ইচ্ছে মতো টাকা-পয়সা চাওয়া হত। না দিতে পারলেই ওই বধূকে মারধর করা হত। এমনকী দেড় বছর আগে যখন ওই গৃহবধূ সন্তানসম্ভবা, তখনও তাঁর উপরে নানা কারণে অত্যাচার করা হত। এরপর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে গঞ্জনা ও অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর রাতে অনুর আর্তনাদ শুনতে পান তাঁর প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁরা দেখেন আগুনে জ্বলছেন ওই বধূ ও তাঁর বাচ্চা। পুলিশের সাহায্যে সদর তাঁদের দুমকা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ই মা-মেয়ের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, গত কাল মধ্য রাতে ওই বধূকে গোলা থেকে ধান এনে সিদ্ধ করার জন্য বলা হয়। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির নির্দেশ মতো সেই কাজ করছিলেন ওই বধূ। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। মেয়েকে ঘুম পাড়াতে তাঁকে বুকের মধ্যে চেপে উঠোনের এক কোণায় বসেছিলেন ওই বধূ। এই সময় তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে সাব্যস্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশি জেরার মুখে অনুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন শেষমেশ সব স্বীকার করতে বাধ্য হন বলেই পুলিশ জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|