বাস মালিকদের সংগঠন বলছে তেমন অসুবিধা হয়নি। জেলাবাসীর একাংশ অবশ্য দাবি করছেন, বাস না পেয়ে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিগ্রেড সভার দিনে এমন মিশ্র চিত্রই ধরা পড়ল বীরভূমে।
সংগঠনগুলির একাংশ জানাচ্ছে, এ দিন বাস ধরতে এসে অন্য দিনের তুলনায় কিছু ক্ষণ বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু জেলার মানুষকে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে, তেমনটা কিন্তু নয়। এ দিন রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন শাসক দল তৃণমূলের বিগ্রেড জনসভায় জেলা থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটের বাস কম থাকবে। কিন্তু তাঁদের ততটা সমস্যায় পড়তে হয়নি বলেই দাবি অধিকাংশ জেলা বাসমালিক ইউনিয়নগুলির। যদিও রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, বোলপুর, সিউড়ি, দুবরাজপুর বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস ধরতে আসা যাত্রীদের অনেকেই অবশ্য বলছেন, জেলার বিভিন্ন রুট থেকে বাস তুলে নেওয়ায় এ দিন অন্য দিনের তুলনায় বাস সংখ্যায় অনেক কম ছিল। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়েছে। বিশেষ করে সিউড়ি-আসানসোল রুটের বাসের সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। বাস মালিক সংগঠনগুলির দাবি, কিছু বাস নেওয়া হয়েছে ঠিকই, তবে এ দিন এমনিতেই ওই রুটে বাস কম থাকে। তাঁর অন্যতম কারণ, এ দিন আসানসোলের বাজার বন্ধ থাকে। কোনও কোনও বাস মালিক এই দিনটিকে বাসের রক্ষণাবেক্ষেণের জন্য রাখেন। তবে অন্যান্য রুটের একাংশের বাস ছাড়া সব বাসই ঠিক মতো চলেছে বলে দাবি। তৃণমূল সূত্রের দাবি, এ দিন জেলা থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষকে কলকাতার ওই জনসভায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিগ্রেড সভায় গিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে তৃণমূল নেতাদের দাবি, এত সংখ্যক মানুষকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসম্ভব রুটের বাসগুলিকে এড়িয়ে ট্রেনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই বুধবার বিকেলে বা রাতেই কলকাতা রওনা হয়েছেন। |