সুবলপুর গ্রামের ওই তরুণীর উপর নির্যাতনকে ‘পৈশাচিক’ আখ্যা দিয়ে আদিবাসী মেয়েদের সুরক্ষার দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিল বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা সংগঠনের ময়ূরেশ্বর ব্লক কমিটি। বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে ওই সংগঠন ময়ূরেশ্বর ১ বিডিও বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর কাছে ওই স্মারকলিপি দেন। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “ওই দাবিগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সহানুভূতির সঙ্গে খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দাবিগুলি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।” |
বৃহস্পতিবার ময়ূরেশ্বরে গাঁওতার মিছিল।—নিজস্ব চিত্র। |
ওই সংগঠনের দাবি, নির্যাতনকারীদের বিচারের পাশাপাশি তরুণীকে সুস্থ জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে ওই তরুণীর জন্য আরও উন্নত মানের চিকিৎসারও তারা দাবি জানিয়েছে। সংগঠন জোর দিয়েছে সামগ্রিক ভাবে আদিবাসী মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়টিকে। এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের দিক থেকে সংগঠন উপযুক্ত সক্রিয়তা দাবি করেছে। সংগঠনের ব্লক সভাপতি বুনুই হাঁসদা বলেন, “আমাদের দাবিগুলির প্রতি যাতে সুবিচার হয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়, তার জন্য বিডিও-র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আদিবাসীদের জন্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে, তা কার্যকর করার আবেদন করা হয়েছে।”
আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার হার নিয়েও চিন্তিত ওই সংগঠন। আদিবাসী মেয়েদের উপরে অত্যাচারের অন্যতম কারণ হিসেবে ওই শিক্ষার অভাবকেই সংগঠন দায়ী করছে। সংগঠনের অন্যতম সদস্য সন্দীপ রায় বলেন, “আদিবাসীদের শিক্ষা হার অনেক কম। তারই সুযোগ নেয় সম্প্রদায়ের বাইরের লোকেরা। অত্যাচার করে তারা শিক্ষার অভাবকে কাজে লাগিয়ে নির্যাতিতাকে ভুল বুঝিয়ে ফয়সালা করে নেয়। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য আমরা আমাদের আদিবাসী সমাজের মেয়েদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। তেমনই প্রশাসনের কাছে আদিবাসী সমাজের উপরে বাইরের লোকেদের অত্যাচার বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।” সংগঠনের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ-প্রশাসন আদিবাসীদের অভিযোগকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। এমন মনোভাব দূর করারও দাবি উঠেছে। |