যখন ছিল না, তখন ছিলই না। আর হল তো হল, একেবারে তিনখান পোলাপান!
ব্রিটিশ অভিনেতা হিউ গ্রান্টের দুই সন্তানের কথা জানত সকলে! এ বার প্রকাশ পেয়েছে, আরও একটি সন্তান রয়েছে হিউয়ের। সে কথা কেউ জানত না। গত ডিসেম্বরে সন্তানের নাম রেজিস্ট্রেশনের সময় বাবা হিসেবে হিউ-এর নাম লেখাতেই বিষয়টা ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
এমনিতে যশ, সাফল্য, সম্মান সবই পাওয়া হয়ে গিয়েছিল যৌবনে। ছিল লিজ হার্লে বা জেমাইমা গোল্ডস্মিথের মতো সেলিব্রিটি প্রেমিকা। তবু সন্তানসুখ পাওয়া হয়নি। তবে সবুরে মেওয়া ফলে। বছর তিনেক আগে একান্ন বছরে প্রথম বাবা হনন হিউ। বান্ধবী তিংল্যান হংয়ের গর্ভে জন্ম নেয় হিউয়ের প্রথম সন্তান টাবিথা। সেটা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর। তার পরে ২০১২-র ডিসেম্বরে জন্মায় তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান ফেলিক্স।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ফেলিক্স আসলে হিউয়ের তৃতীয় সন্তান। ২০১২-র সেপ্টেম্বরেই জন্মেছিল হিউয়ের দ্বিতীয় সন্তান। আর এক বান্ধবী আনা এবেরস্টাইনের গর্ভে। অর্থাৎ? অঙ্ক কষে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর চক্ষু চড়কগাছ! ১৫ মাসের মধ্যে তিন-তিনটি সন্তান! তাও আবার মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে দুই বান্ধবীর গর্ভে দুই সন্তানের বীজ বপন! |
তিংল্যান হং ও আনা এবেরস্টাইন। |
নিন্দুকেরা ভুরু কোঁচকাচ্ছেন। ‘নটিং হিল’ তারকার অবশ্য তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই। ২০১২-র এপ্রিলে এক মার্কিন টিভি শোয়ে হিউ বলেছিলেন, “সবাই এত দিন জিজ্ঞেস করতেন, হিউ, বাবা হওয়ার কথা ভাবছ না কেন? সন্তান এলে জীবনের মানেটাই বদলে যায়। আমার সন্তান হওয়ায় বুঝতে পারছি সত্যি জীবন বদলাচ্ছে।”
তবে আনার সন্তান জন্মানোর এক বছরেরও বেশি তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল। এমনকী, জন্মের নথিপত্র তৈরির সময়ও বাবার নামের পাশে জায়গা খালিই রাখা ছিল। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সন্তানের জন্মের তথ্য ফের নথিবদ্ধ করাতে আসেন আনা। সঙ্গে ছিলেন হিউ। বাবার পরিচয়ের পাশে নিজের নাম লেখেন তিনি। সন্তানকে নিজের পদবীও দেন। সে কথা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। তিংল্যানয়ের সঙ্গে তো ব্রিটেনে জনসমক্ষে ঘুরে বেড়িয়েছেন হিউ। তাঁর সন্তানদের কথাও অজানা নয়। তা হলে ফের আনা এবেরস্টাইনের গর্ভে সন্তান কেন? তিংল্যান কি এই সম্পর্কের কথা জানতেন? আনার ছেলের কথাও কি তাঁর জানা?
আপাতত বিষয়টি নিয়ে কেউই মন্তব্য করেননি। অ্যানার দাবি, তাঁর পরিবারের সবাই সব জানতেন। হিউকে বরাবর পাশেও পেয়েছেন। আর হিউ-ভক্তরওা বেশ খুশি। হাজার হোক, একাধিক বান্ধবী থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন নিঃসন্তান ছিলেন হিউ। এ বার অন্তত ‘টু লেডিস অ্যান্ড থ্রি চিলড্রেন’ নিয়ে হিউয়ের জীবন ভরপুর। |