বরাকরে লুঠপাটে ধৃত ভিন্ রাজ্যের ছয়, হদিস চক্রের
ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাটের ঘটনায় ঝড়খণ্ড থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের অনেকের বিরুদ্ধেই ঝাড়খণ্ডের নানা এলাকায় দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাদের জেরা করে ডাকাতি-লুঠপাটের একটি বড় চক্রের হদিস মিলেছে বলেও দাবি পুলিশের।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে বরাকর স্টেশন রোড লাগোয়া নিমাকানালি এলাকার ব্যবসায়ী অরবিন্দ নেহারিয়ার বাড়িতে লুঠপাট করে প্রায় জনা পনেরোর একটি দল। পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তারা তাণ্ডব চালায়। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় একটি দুষ্কৃতী দল রয়েছে, যারা সীমানা লাগোয়া বরাকরের নানা এলাকায় মাঝে-মধ্যেই লুঠপাট চালায়। তার পরে ফের ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়ায় এ রাজ্যের পুলিশ তাদের নাগাল পায় না। এই দলটিই ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠে জড়িত বলে তাঁরা গোড়া থেকে সন্দেহ করছিলেন, জানান সুব্রতবাবু।
পুলিশ জানায়, প্রথমে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে শাকিল আনসারি, শামিম আনসারি ও কিশোর মণ্ডল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় শাকিল ও শামিম যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করায় পুলিশ তাদের মোবাইল ফোনের গতিবিধি নজরে রাখছিল। জামতাড়ায় খানা-তল্লাশিও চালানো হচ্ছিল। শেষে মোবাইলের সূত্র ধরে তাদের গ্রেফতার করে কুলটির পুলিশ। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডেরই নারাণপুর ও কাতরাস এলাকা থেকে আরও তিন জনকে ধরা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে বরাকরে একটি গয়নার দোকানে লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছিল। তাতেও এই দলই জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। ওই দোকান ও নিমাকানালির ব্যবসায়ীর বড়ি থেকে লুঠ করা সোনা ঝাড়খণ্ডের যে দোকানে বিক্রি করা হয়েছে, সেটির মালিককেও ধরা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা লুঠপাটে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রথম তিন জনকে বুধবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে দশ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বাকি তিন জনকে আদালতে তোলা হলে তাদেরও পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি বড়সড় চক্রেরও হদিস মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রতবাবু বলেন, “ঝাড়খণ্ডে ক্রমাগত অভিযান চালিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরা সম্ভব হলেও সদ্য গজিয়ে ওঠা এক দল মোটরবাইক চোর আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” এডিসিপি জানান, কুলটি পুর এলাকায় কোনও বৈধ স্ট্যান্ড নেই। যেখানে-সেখানে যেমন খুশি স্কুটার, মোটরবাইক রেখে মানুষজন দোকান-বাজারে চলে যান। দুষ্কৃতীরা সে সব চুরি করে পালায়। পুরসভার তরফে বৈধ স্ট্যান্ড তৈরি করে দেওয়া হলে স্কুটার, মোটরবাইক চুরি কমার পাশাপাশি এলাকার কয়েক জনের আয়ের সংস্থানও হবে। পুলিশের তরফে পুরসভাকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হবে বলে জানান এডিসিপি। কুলটির উপপুরপ্রধান বাচ্চু রায় জানান, স্ট্যান্ডের বিষয়টি খুব জরুরি। পুলিশের তরফে অনুরোধ না এলেও তাঁরা এই ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.