|
|
|
|
আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজ ‘দখল’ তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
ছাত্র পরিষদের ‘দুর্গ’ বলে পরিচিত জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র বাণিজ্য কলেজ ‘দখল’ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কলেজের ছাত্র সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত ছাত্র পরিষদ প্রতিনিধি শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন। এ দিনের ওই দলবদলে টানা ৩৩ বছর দখলে থাকা কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদ ছাত্র পরিষদের হাত ছাড়া হল। এ দিকে শহরেরই প্রসন্নদেব মহিলা কলেজের ৪০ আসনের ছাত্র সংসদের ফলাফল এ দিনও স্পষ্ট হল না। ২১ জানুয়ারি নির্বাচনে একটি আসনে টাই হয়। এ দিন ওই আসনটি টসে পায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২০টি। অন্যদিকে এসএফআই-র দখলে রয়েছে ২০টি আসন।
এ দিন দুপুর নাগাদ যুব তৃণমূল দফতরের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমার্স কলেজের ১০ আসনের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর চন্দের নেতৃত্বে ৯ জন নির্বাচিত ছাত্র পরিষদ প্রতিনিধি তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী সভাপতি দেবল দত্ত জানান, ১৯৮১ সালে এসএফআইকে পরাজিত করে কমার্স কলেজে সংসদ দখল করে ছাত্র পরিষদ। ১৯৮৮ সাল থেকে ছাত্র পরিষদ কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আসছে। এ দিনের পরে জেলার ১২টি কলেজের মধ্যে একটিও ছাত্র পরিষদের দখলে রইল না। জেলা কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু বসু অভিযোগ করেন, “‘প্রলোভন দিয়ে, ভয় দেখিয়ে ছাত্র পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দলে টেনেছে তৃণমূল।”
প্রসন্নদেব মহিলা কলেজের ফলাফল অমীমাংসিত রয়ে গেলেও ওই সংসদ তাঁদের দখলে আসবে দাবি করে এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা ব্যান্ড বাজিয়ে সবুজ আবির উড়িয়ে মিছিল করেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য দাবি করেন, “এসএফআই-র দিকে চলে যাওয়া বেশ কয়েকজন নির্বাচিত প্রতিনিধি ভুল উপলব্ধি করেছেন। ওঁরা আমাদের সমর্থন করবেন। আমরা সংসদ গড়ব।”এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, “কলেজের ফল অমীমাংসিত। কিন্তু টিএমসিপি ভয় দেখিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের দলে টেনে সংসদ দখল করবে।” |
|
|
|
|
|