|
|
|
|
শিলিগুড়িতে সোমেন, র্যালি ঘিরে উৎসাহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আগামী লোকসভা ভোটে সারদা কাণ্ডকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারের মূল অস্ত্র করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলেন সদ্য কংগ্রেসে ফেরৎ আসা সোমেন মিত্র। তৃণমূলের উপর চাপ তৈরি করতে সারদা কাণ্ডে রাজ্য সরকার কেন সিবিআই তদন্ত করাচ্ছে না, সে প্রশ্নও প্রতিটি সভা-কর্মসূচিতে বারবার তোলার পরামর্শ দেন ডায়মন্ডহারবারের প্রাক্তন সাংসদ।
কংগ্রেসে ফেরার পরে শুক্রবারই জেলা সফর ছিল সোমেনবাবুর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলে যোগদানের পরেই শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে-ই প্রথম কোনও প্রকাশ্য সভায় যোগ দিলেন তিনি। দার্জিলিং লোকসভা যুব কংগ্রেসের প্রথম রাজনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সোমেনবাবু। প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সোমেনবাবুর ফিরে আসার ‘উন্মাদনায়’ সম্মেলন কার্যত তাঁর বক্তব্যকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। |
|
শিলিগুড়ি শহরের রাস্তায় সোমেন মিত্র। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় আধঘণ্টার ভাষণে সোমেনবাবু তাঁর তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে আসার ব্যাখ্যা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দলে টানা, রাজ্য জুড়ে মহিলাদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে বীরভূমের লাভপুরে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কৈফিয়ৎ তলব-সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসলেও, বক্তৃতার শুরু থেকে বারবার তিনি সারদা কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাঁর কথায়, “সারদা কাণ্ডে তৃণমূলের অনেকের নাম শোনা গিয়েছে, তবে সততার প্রতীক মুখ্যমন্ত্রী কেন সারদা নিয়ে সিবিআই তদন্ত করার কথা বলছেন না। রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষরা সারদা-সহ অন্য অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হলেন, আর রাজ্য সরকার শুধু একটা কমিশন গড়ল, যার কোনও ক্ষমতাই নেই। হাতে গোনা কয়েকজনকে টাকা ফেরৎ দেওয়া হল। সকলের টাকা ফেরানোর দাবিতে প্রচার শুরু করতে হবে।”
দীনবন্ধু মঞ্চে উপস্থিত কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সোমেনবাবুর বার্তা, “আপনাদের প্রতিটি সভায় প্রশ্ন তুলতে হবে, মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন কেন সারদা নিয়ে সিবিআই হবে না, কেন সকলের টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সে উত্তর দিতে হবে।”
এ দিন দুপুর ১টায় সোমেনবাবুর আসার কথা থাকলেও, বিমানের দেরির কারণে তিনি প্রায় দু’ঘণ্টা পরে সভামঞ্চে আসেন। ভিড়ে ঠাসা দীনবন্ধু মঞ্চে তখনও উৎসাহের শেষ নেই। বিমানবন্দরে নামার পরে শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড় থেকে হুডখোলা জিপে সোমেনবাবুকে নিয়ে বাইক র্যালি করে যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সেই সঙ্গে ছিল তাসা-ব্যান্ডপার্টি। সম্মেলনে উপস্থিত প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সৌমিক হোসেন থেকে শুরু করে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার, শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত সকলের ভাষমেই বারবার সোমেন মিত্রের নেতৃত্বে আন্দোলন করা, তাঁর থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। এ দিন সোমেনবাবুর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কংগ্রেস নেতা কর্মীরাও যোগাযোগ করেন। তিনি মঞ্চে আসার পরে মোবাইলে তার ছবি তোলা বা তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে। যে প্রসঙ্গে সোমেনবাবু বলেন, “ঘরের ছেলেকে ফেরাতে এত আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। সামনে দলের জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে।” |
|
|
|
|
|