বার বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সত্ত্বেও পুলিশ অভিযুক্তকে ধরছিল না। অবশেষে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক রানাঘাটের আইসি’কে শো-কজ করলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্তকে শেষ পর্যন্ত কোর্টে হাজির করে পুলিশ। ঠেলায় পড়ে প্রিয়জিৎ পাল নামে ওই আসামী অভিযোগকারীকে আদালতের নির্দেশমত পাওনা গণ্ডা মিটিয়ে দেয়।
রানাঘাটের বাসিন্দা কানাইলাল ঘোষ একটি বালা তৈরির জন্য ১৯.৩ গ্রাম সোনা ও হাজার চারেক টাকা দিয়েছিলেন এলাকারই একটি সোনার দোকানের মালিক প্রিয়জিৎ পাল ও অপু পালকে। সেই গয়না না পেয়ে ২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন কানাইলালবাবু। ২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি বিচারক নির্দেশ দেন, প্রদেয় সোনা বা তার বাজার মূল্য সহ ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচ বাবদ আরও দু’হাজার টাকা কানাইলাল বাবুকে দিতে হবে অভিযুক্তদের। কিন্তু সেই নির্দেশ না মানায় ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি জারি মামলা করা হয়। ২৫ জুন দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রথম পরোয়ানা ইস্যু হয়। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তকে না ধরায় বিচারক একাধিকবার ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। শেষমেষ বিচারক চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রানাঘাটের আইসি জহরজ্যোতি রায়কে ‘শো-কজ’ করে জানতে চান কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? ১৭ জানুয়ারি জহরজ্যোতিবাবু আদালতে গেলে বিচারক তাঁকে দু’মাসের মধ্যে অভিযুক্তকে ধরতে বলেন। ২২ জানুয়ারি পুলিশ প্রিয়জিৎ পালকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২৪ জানুয়ারি অভিযোগকারী আদালতকে জানায়, বিচারকের নির্দেশ মত অভিযুক্তদের কাছ থেকে তিনি টাকা পেয়ে গিয়েছেন।
আইসি জহরজ্যোতি বাবুর বক্তব্য, “বিচারকের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই আসামীকে ধরা গেছে। আসামীরা পলাতক ছিল। আমরা তাদের খোঁজ করছিলাম।” |