বিজেপি-র জনসভার প্রচারে নেমে সাসপেন্ড হলেন এক পুলিশকর্মীকে।
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক বরুণ গাঁধী শুক্রবার ব্যারাকপুরের কেলভিন জুটমিল মাঠে জনসভা করেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদীর সভার প্রচারের উদ্দেশ্যে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বরুণকে গাঁদা ফুলের অতিকায় মালা পরিয়ে তাঁর হাত ধরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের গাড়ির চালক কনস্টেবল ভরত সিংহ! শুধু তা-ই নয়, গোটা এলাকা জুড়ে বিজেপি-র ওই ‘উত্থান সভা’র ব্যানার ও ফ্লেক্স প্রচারে তাঁরই ছবি জ্বলজ্বল করছে আয়োজক হিসাবে! খাকি উর্দিতেই ভরতকে দেখতে অভ্যস্ত তাঁর সহকর্মীরা। তাই তাঁকে বিজেপি-র সভার আয়োজক হিসাবে দেখে তাঁরা হতবাক।
ভরতের ওই আচরণের প্রেক্ষিতে কোনও সরকারি কর্মী সরাসরি রাজনৈতিক মঞ্চে যেতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের পদস্থ কর্তাদের বক্তব্য, উর্দিধারী পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা খুবই কড়া। |
যদিও ভরতের পাল্টা প্রশ্ন, “গণতান্ত্রিক দেশে আমি সরাসরি আমার মত পোষণ করলে দোষ কোথায়?” কিন্তু ভরতকে রাতেই সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। পুলিশ কমিশনার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন না। ফলে এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ব্যারাকপুরের ডিসি (সদর) কল্লোল গণাই বলেন, “সার্ভিস রুল না মানার কারণে ভরতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
এ দিন বরুণ তাঁর ভাষণে লাভপুর ধর্ষণ-কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন। তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। এক জন মহিলার সম্মান কি এক লক্ষ টাকা?” অর্থলগ্নি সংস্থার প্রশ্নেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বরুণ। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এবং অভিনেতা জর্জ বেকার ওই সভায় ছিলেন। ব্যারাকপুরের পর কামারহাটিতেও সভা করেন বরুণ। |