|
|
|
|
গ্রামীণ শিল্পীদের প্রশিক্ষণে গতি আনতে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গ্রামীণ শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দিতে অর্থ বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ১৪০০ শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। প্রায় সাড়ে ৯০০ শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাঝে মাত্র আর ২ মাস বাকি। কাজে গতি আনতে শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এক বৈঠক হয়। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই প্রত্যেক শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় সে জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
তারই সঙ্গে যে সব শিল্পীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা যে সব কাজ করছেন তা বাজারে বিক্রি করা সম্ভব কিনা তাও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় মাদুর, বাঁশের কাজ, শাড়ি তৈরি সহ নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সেগুলি বাজারে বিক্রির উপযুক্ত কিনা তা বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। যদি বিক্রি করা যায়, তাহলে কত দাম হতে পারে তাও নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই স্ব-সহায়ক দলকে দিয়ে বিক্রিরও ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও যে সামগ্রী তৈরি হচ্ছে তার গুনগত মান আরও উন্নত করা যায় কিনা সে জন্য খড়্গপুর আইআইটি ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগকেও এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে প্রশাসন।
এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, জেলা শিল্প কেন্দ্রের আধিকারিক প্রহ্লাদ হাজরা, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অমল মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক বলেন, “এই কাজ যাতে উন্নত হয় ও শিল্পীরা উপকৃত হন সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|