অকল্যান্ডের ম্যাচটা সিরিজের নিষ্পত্তি করে দিতে চলেছে। যদি নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা জিতে যায়, তা হলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ ওরা জিতে যাবে ৩-০। আর যদি ভারত জেতে, তা হলে বেঁচে থাকবে সিরিজটা। ধোনিরাও একটা সুযোগ পাবে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে সিরিজটা ছিনিয়ে নেওয়ার। পরিস্থিতি ধরলে, অকল্যান্ডে কিন্তু একটা উত্তেজক ম্যাচের প্রেক্ষাপট তৈরি। কিন্তু ধোনিদের যদি প্রত্যাবর্তন ঘটাতে হয়, যা কি না ওরা আগেও কয়েক বার ঘটিয়েছে, তা হলে কয়েকটা ব্যাপার খুব দ্রুত ঠিকঠাক করে ফেলা দরকার। যেটা ওদের নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে ফিরে আসতে সাহায্য করবে।
সিরিজের দু’টো ম্যাচ আপাতত হয়েছে। দু’টোতেই দেখা গিয়েছে যে, ভারত টসে জিতে ফিল্ডিং নিচ্ছে। আমার মনে হয়, যদি ধোনি তৃতীয় বারের জন্য টস জেতে, তা হলে প্রথমে ব্যাটিং করার কথা ভাবতে পারে। তাতে টিমের ব্যাটসম্যানরা নিজস্ব গতিতে ইনিংসটা তৈরি করতে পারবে। নিউজিল্যান্ড বোলাররা মোটেও এক্সপ্রেস গতির নয়। এবং ভারতীয়রা খোলা মনে ব্যাট করার সুযোগটা পেয়ে যদি স্কোরবোর্ডে বড় একটা রান তুলে দেয়, নিউজিল্যান্ড কিন্তু চাপে পড়ে যাবে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেক বেশি সিমার-বন্ধু পিচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে ধোনি। নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপেও ফেলেছে। আমার মনে হয়, ধোনি আরও এক বার টসটা ঠিকঠাক ‘কল’ করলে, প্রথমে ব্যাটিং নিলে ভারতের অবস্থাটা বদলাতে পারে। অকল্যান্ডের মাঠটা এমনিতেই ছোট। ম্যাচটা হাই স্কোরিং হবে। প্রচুর রান উঠবে। সেখানে যদি প্রতিপক্ষকে রান তাড়া করার চাপে ফেলা যায়, তা হলে কাজের কাজটা হতে পারে।
শিখর ধবন এবং রোহিত শর্মাকে দ্রুত নিজেদের ফর্মটা ফিরে পেতে হবে। শুরুতে একটা ভাল রান উঠে গেলে মিডল অর্ডার অনেক ভাল ভাবে ম্যাচের কন্ট্রোল নিতে পারে। ভারতের ব্যাটসম্যানরা যদি একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর তুলে দিতে পারে, তা হলে ভারতীয় বোলাররা চাপটা আয়োজক দেশের উপর পাঠিয়ে দিতে পারবে। যা কি না চলতি সিরিজে খুব একটা ঘটতে দেখা যায়নি। তবে সেটা করার জন্য বোলিং বিভাগেও কিছু ওলট-পালট দরকার। ইশান্ত শর্মাকে নিয়ে এ বার সত্যিই ভাবা উচিত। আমার মতে, বরুণ অ্যারনকে এক বার সুযোগ দিতে দেখা যেতে পারে। ওর পেস, ঝরঝরে মনোভাব—দু’টোই ভারতের কাজে আসতে পারে। সঙ্গে ধোনি এবং ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে খুব ভাল করে ভাবতে হবে যে, ওই পরিবেশে দুই স্পিনার খেলানোর প্রয়োজনীয়তা সত্যিই আছে কি না। আমার তো মনে হয়, এই ধরনের পরিবেশে স্টুয়ার্ট বিনির ব্যাটিং ও বোলিং— দু’টোই এখানে অনেক বেশি উপযোগী।
নিউজিল্যান্ডকে দেখে এখনও পর্যন্ত মনে হয়েছে যে, ওরা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা ভেবে খেলছে। আর ওদের যা ক্ষমতা, সেই তুলনায় বেশ ভালও খেলছে। কিন্তু আমি দেখতে চাই ভারত এক বার নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী উঠে দাঁড়ালে ওরা কতটা কী করে। |