|
|
|
|
ভাইয়ের সঙ্গে কাজিয়ায় করুণা হারালেন আলাগিরি
নিজস্ব প্রতিবেদন
২৪ জানুয়ারি |
ভাইয়ে-ভাইয়ে লড়াই বহুদিনের। এ বার তার জেরে বড় ভাইকে কড়া শাস্তি দিলেন বাবা। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আলাগিরিকে ডিএমকে থেকে সাসপেন্ড করলেন এম করুণানিধি। আগে তাঁকে বহু বার সতর্ক করা হয়েছিল। দলের নিয়ম ভাঙলে ফল ভুগতে হবে। শেষমেশ সেটাই সত্যি হল। আপাতত ডিএমকে-র সব পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আলাগিরির খেদ, “ডিএমকে-তে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।”
আলাগিরির সঙ্গে ডিএমকে প্রধানের মন-কষাকষি নতুন কোনও বিষয় নয়। করুণানিধি বিভিন্ন সময়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক ভাবে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারেন ছোট ছেলে স্ট্যালিনই। যা বরাবরই মানতে নারাজ আলাগিরি। ভাইয়ে ভাইয়ে জোর বিবাদ তা নিয়েই।
|
এম কে আলাগিরি |
২০১০ সালে আলাগিরি ঘোষণা করে বসেন, দলের সভাপতির পদ থেকে করুণানিধি সরে যাওয়ার পরে সেই পদে যোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজতে ভোটগ্রহণ করা উচিত ডিএমকে-র। সেই লড়াইয়ে নেমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণও করতে চেয়েছিলেন আলাগিরি। যার জেরে ৮৯ বছর বয়সেও অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন করুণানিধি।
কখনও আবার আলাগিরি তামিল টিভি চ্যানেলে মুখ খুলেছেন ভাই স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে। বলেছেন, “ডিএমকে প্রধানের পদে করুণানিধি ছাড়া কাউকে ভাবতেই পারি না।”এ ভাবে নানা সময়েই ডিএমকে প্রধানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন আলাগিরি। কিন্তু করুণানিধি বড় ছেলের ‘রুক্ষ’ ভাবমূর্তির তুলনায় ডিএমকে-র মুখ হিসেবে নম্র স্ট্যালিনকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন।
আলাগিরিকে নিয়ে এ বার এমন কী ঘটল যে তাঁকে সাসপেন্ড করা হল? দলীয় সূত্রে খবর, আগামী লোকসভা ভোটে আঞ্চলিক দল ডিএমডিকে-র সঙ্গে জোট করা নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ওই দলের সঙ্গে জোটের পক্ষপাতী করুণানিধি। কিন্তু আলাগিরি এই জোট চান না। তার কারণ মাদুরাইয়ে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে আলাগিরি যথেষ্ট জনপ্রিয়। কিন্তু ডিএমডিকে-র প্রধান প্রাক্তন অভিনেতা বিজয়কান্তও মাদুরাইয়ে বেশ পরিচিত মুখ। আর এটাই উদ্বেগের কারণ আলাগিরির। তিনি মনে করছেন, তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাগ বসাতে পারেন বিজয়কান্ত। তাই প্রকাশ্যেই বিভিন্ন সময়ে বিজয়কান্তর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন আলাগিরি। বিজয়কান্ত কোনও রাজনীতিকই নন এমন মন্তব্যও করেছেন আলাগিরি। এই সব বিতর্ক থেকে এত দিন নিজেকে সচেতন ভাবেই দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন করুণানিধি।
২ ফেব্রুয়ারি জোট গড়া নিয়ে ডিএমডিকে-র সঙ্গে বৈঠকে বসবে ডিএমকে। তাই তার আগে আলাগিরি যাতে আর নতুন করে কোনও জটিলতা তৈরি করতে না পারেন, তার জন্যই করুণানিধি তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। আলাগিরিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে খুশি স্ট্যালিন ঘনিষ্ঠরা।
এ ছাড়াও মাদুরাইয়ে দলের পাঁচ সদস্যকে সাসপেন্ড করা নিয়ে ডিএমকে-র সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আলাগিরি। অভিযোগ, ওই সদস্যরা স্ট্যালিনের সমালোচনা করে পোস্টার লাগিয়েছিলেন। প্রত্যাশিত ভাবেই আলাগিরি তাই সাসপেন্ড হওয়া ওই পাঁচ সদস্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আলাগিরি জানান, ওই সদস্যরা তাঁর সমর্থক নন। |
|
|
|
|
|