কেএমডিএ-র শর্ত মেনে কসবায় কলকাতা পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ফাঁকা জমিতে উদ্যান তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এই কাজ করবে পুরসভার উদ্যান দফতর। মাস ছয়েকের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি।
তিন বছর আগে গিরীন্দ্রশেখর বসু রোডের পাশে ১৭ কাঠা এই জমিটি পুরসভাকে অধিগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছিল কেএমডিএ। তার পরে জমিটি ফাঁকা পড়েছিল। অভিযোগ, সম্প্রতি জমিটি জবরদখল হয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর তখন পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পরেই পুর-কর্তৃপক্ষ জমিটি অধিগ্রহণ করেন।
|
এখানেই তৈরি হবে উদ্যান। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “কেএমডিএ-র কথা মতো জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমিটি কোনও ব্যক্তির বা সংস্থার মালিকানাধীন নয়। আমি নিজেও এলাকাটি ঘুরে দেখেছি।”
দেবাশিসবাবু জানান, শর্ত অনুযায়ী, জমিটি উদ্যান হিসেবেই ব্যবহার করা হবে। কোথাও কোনও নির্মাণ বা জমি দখল করতে দেওয়া হবে না। উদ্যান তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই জমিটি স্থানীয় বাসিন্দারা বহু বছর ধরেই পার্ক হিসেবে ব্যবহার করেন। ২০০৮-এ কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ কাগজে এই জমিটি-সহ কসবা
অঞ্চলের ন’টি জমি ‘লিজ’ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনে নিলামের মাধ্যমে এই জমি কেনার জন্য কেএমডিএ-র কাছে আবেদনও করতে বলা হয়। এর পরেই স্থানীয় কাউন্সিলর সিপিএমের দীপু দাস কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জানান যে এলাকার বাসিন্দারা ওই জমিটি উদ্যান হিসেবে ব্যবহার করতে চান। |
দীপুদেবী বলেন, “আমি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে বাসিন্দাদের দাবির কথা জানাই। তৎকালীন পুরবোর্ডকেও উদ্যান তৈরির জন্য অনুরোধ করি। সম্প্রতি জায়গাটি জবরদখলের চেষ্টা চলছিল।
দলমত নির্বিশেষে সবাই এর বিরোধিতা করেন। পুরসভার উদ্যোগেই এই উদ্যান তৈরি হচ্ছে।”
পুরসভার উদ্যান বিভাগের এক আধিকারিক জানান, পুর-কর্তৃপক্ষ জমিটি পরিদর্শন করার পরে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তাঁরা জানান, গিরীন্দ্রশেখর বসু রোডে এই জমিটির আয়তন মোট ১০৮০ বর্গ মিটার। জমিটি কেআইটি-র। ২০০৮-এ সালে কলকাতা পুরসভার
তৎকালীন কমিশনার কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে এই জমিটি অধিগ্রহণের ব্যাপারে আর্জি জানান। নগরোন্নয়ন দফতর ২০০৯-এ বিনামূল্যে উদ্যান তৈরির শর্তে জমিটি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র দেয়। |