বেপরোয়া ভাবে অটো চালাচ্ছিলেন এক চালক। বিধাননগরে পিএনবি মোড়ের কাছে প্রায় উল্টেই যাচ্ছিল অটোটি। তাই নিয়ে অটোচালকের সঙ্গে তুমুল গোলমাল যাত্রীদের। তাঁরা চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন। কিন্তু কাছে কোনও পুলিশ কিয়স্কই পেলেন না।
করুণাময়ী মোড়ে দু’টি মোটরবাইক বেপরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। গড়িয়াবাসী নিমাই সাহা রাস্তা পার হচ্ছিলেন। আচমকাই নিয়ম ভেঙে ওই দু’টি মোটরবাইক তাঁর সামনে এসে পড়ে। মোটরবাইকের ধাক্কায় নিমাইবাবু ছিটকে পড়েন। কিন্তু অভিযোগ জানানোর জন্য পেলেন না কিয়স্ক।
শুধু বিধাননগরই নয়, বিধাননগর কমিশনারেটের ন’টি থানা এলাকার অধিকাংশ জায়গায়ই পথচারীদের এমন সমস্যা হয়। অভিযোগ, কমিশনারেট হওয়ার পরে দু’বছর পার হলেও আজও ট্রাফিকের পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো তৈরি হল না।
যদিও কমিশনারেটের দাবি, পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিধাননগরে সে পরিকল্পনা অনেকটাই কার্যকরী হয়েছে। ক্রমশ ন’টি থানা এলাকাতেই পরিকাঠামো মজবুত করা হবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
|

সিগন্যাল নেই। যেমন খুশি চল। ছবি: শৌভিক দে। |
আজও কমিশনারেটের সর্বত্র সিসি টিভি বসানো যায়নি। কর্মীর অভাব রয়েছে। ভিআইপি রোড, রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ের মতো ব্যস্ত জনপথেও বিধাননগর কমিশনারেট আজও ট্রাফিকের সদর দফতর তৈরি হয়নি। দু’তিনটি অফিস থেকে গোটা এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন ট্রাফিক কর্তাদের একাংশ।
তবে ট্রাফিক কর্তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই কয়েকটি ফোন নম্বর এবং ফেসবুকে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফেসবুকে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ এসেছে।
কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় গ্রিন পুলিশের উপরেই ভরসা করতে হয়। এক ট্রাফিক কর্তা জানান, সদর দফতর তৈরি করলে সুবিধা হয়। তবে জমি, অর্থ-সহ নানা বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। তাই কিছুটা সময় লাগবে। পাশাপাশি কমিশনারেটে আরও অফিসার এবং কর্মীর প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আরও দ্রুত এবং সহজে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অন্য দিকে, ট্রাফিকের গাড়ির সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। গাড়ি বলতে কয়েকটি মোটরসাইকেল। যদিও গ্রিন পুলিশ ও ট্রাফিক অফিসারদের সঙ্গে থানার পুলিশও জনবহুল মোড়গুলিতে নজরদারির কাজ করেন বলে কমিশনারেটের দাবি।
সল্টলেক (বিধাননগর) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘যে ভাবে গাড়ি এবং মানুষের চাপ বাড়ছে, তাতে পরিকাঠামোর আরও সংস্কার প্রয়োজন।’’ বিধাননগরের ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কমিশনারেট তৈরি হওয়ার পরেই ট্রাফিক ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেগুলি কার্যকরীও হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ন’টি থানা এলাকাতেই ট্রাফিক পরিকাঠামো মজবুত করা হবে।”
পথনিরাপত্তা সপ্তাহ রাস্তার মোড়ে পড়ে রয়েছে একটি দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্স। পথনিরাপত্তা সম্পর্কে পথচারীদের সতর্ক করতে এ ধরনের নানা মডেল দিয়ে ডানলপ-সহ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় সাজানো হয়েছিল। ১১-১৭ জানুয়ারি এই পথনিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হয়। চালকদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আলোচনাসভাও হয়। |