টানা দু’দিন নয়া নজির গড়ার পর, শুক্রবার চলতি সপ্তাহের সর্বনিম্ন অঙ্কে (২১,১৩৩.৫৬) নেমে গেল সেনসেক্স। এ দিন প্রায় ২৪০ পয়েন্ট পড়ে যাওয়ায় ধুয়েমুছে গিয়েছে গত চার দিন ধরে সূচকের টানা ৩১০ পয়েন্ট উত্থানের বেশির ভাগটাই।
এই পতনের জন্য গতকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর, রঘুরাম রাজনের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানায় আরও জোর দেওয়ার ইঙ্গিতকেই দায়ী করেছেন শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞেরা। কারণ এই ইঙ্গিত পেয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারির ঋণনীতিতেও শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমাবে না বলে ধরে নিয়েছেন লগ্নিকারীরা। ফলে আগামী দিনে বাজারে বড় পতনের আশঙ্কায় এ দিন দ্রুত হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা ঘরে তুলতে থাকে তারা।
রাজন বলেছিলেন, “মূল্যবৃদ্ধি ধ্বংসাত্মক রোগ। দীর্ঘ মেয়াদে তা দেশের বৃদ্ধির পথে প্রধান বাধা। শিল্পমহলের বেশি সুদ অপছন্দ হলেও, ৮ শতাংশের মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের কাছে সুদের হার উঁচুতে রাখা ছাড়া কোনও উপায়ও নেই।” এতেই সুদ কমছে না ধরে নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লগ্নিকারীরা। যে কারণে আবাসন, ব্যাঙ্কিং বা গাড়ির মতো যে সব শিল্পের সুদ কমলে ব্যবসা বাড়ে, তাদের শেয়ার দরই হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে এ দিন। তবে এর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ও পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে।
এগুলি হল—
• ব্যাঙ্ক ও রফতানিকারীদের ক্রয়ের জেরে ডলারে টাকার দামের ৭৩ পয়সা পতন। এক ডলার দাঁড়ায় ৬২.৬৬ টাকা। যা দু’মাসে সব চেয়ে কম।
• চিনের উৎপাদন শিল্প খারাপ ফল করায় এশিয়া ও ইউরোপের বেশির ভাগ শেয়ার সূচকের নেমে যাওয়া।
• ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা র্যানব্যাক্সির শেয়ার দরে ধস। গতকাল মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক (এফডিএ) তাদের দেশের বাজারের জন্য সংস্থার পঞ্জাবের তোয়ানসা কারখানা ও নিউ জার্সির ওহম গবেষণাগারে সংস্থাটির ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অভিযোগ, ওষুধ তৈরিতে নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার। |