আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল যে নির্ণায়ক শক্তি হবে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে এই দাবি আগেই করেছেন তৃণমূল নেতারা। শুক্রবার ভাতারের মাধব পাবলিক স্কুল মাঠে দলের ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় এসে এক ধাপ এগিয়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৫৫টি আসন পাবে তৃণমূল। এ দিন তিনি বলেন, “এই রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই আমাদের জেতান। আমরা অরুণাচল, ওড়িশা ঝাড়খণ্ড মণিপুর ইত্যাদি রাজ্য থেকে আরও ১২ থেকে ১৫টি আসন পাব। নতুন লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হবেন কেন্দ্রে সরকার গঠনের নির্নায়ক শক্তি।”
এ দিনের জনসভায় তমলুকের তরুণ তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, নতুন সরকারের আমলে রাজ্যে যদি কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তা হলে নিগৃহীতা থানায় গেলেই তাঁদের অভিযোগ নিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু বাম আমলে কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে নিগৃহীতা ও তাঁর পরিবারকে যেতে হত সিপিএমের জোনাল ও লোকাল কমিটির অফিসে। সেখানেই ঠিক হতো থানা অভিযোগ নেবে কি না। তাঁর আরও দাবি, নতুন সরকারের আমলে জঙ্গলমহলে কোনও খুন হয়নি। |
এ দিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখন মহিলা নির্যাতনের কথা নিয়ে খুব লেখালেখি হচ্ছে। কিন্তু সিপিএম গত ৩৪ বছরে এ রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে হয় প্রকাশ্যে নয়তো গোপনে খুন করেছে। খুন হওয়া মানুষের অর্ধেকই মহিলা ছিলেন। মঙ্গলকোটের পূর্ণিমা মাঝি, সিঙ্গুরের তাপসী মালিক তার জ্বলন্ত উদাহরণ। বানতলায় অনিতা দেওয়ান, চপলা সর্দারদের খুনের কথা আপনারা ভুলে গিয়েছেন?”
উল্লেখ্য, বর্ধমানের তিনটি লোকসভা আসনই গত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের দখলে গিয়েছিল। এই কথা মনে রেখে তিনি দলীয় কর্মীদের সাবধান করে বলেন, “এই জেলায় বামেরা যেন আর জিততে না পারে।” উপস্থিত যুব কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভাপতি আরও বলেন, “কাউকে মেরেধরে নয়। গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে এমন ভাবে সংগঠন করুন যাতে গ্রাম অথবা শহরে কোথাও সিপিএম পতাকা তোলার লোক না খুঁজে পায়।” সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও বর্ধমান (গ্রামীণ) জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, “এ বার কেন্দ্রে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি ন্যাশন্যাল ফ্রন্ট তৈরি করা হবে।” |