মাকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুর থানা এলাকার শরৎ বসু রোডের একটি হোটেলে। পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন।
পুলিশ জানায়, মৃত ওই প্রৌঢ়ার নাম সুপ্রীতি ভট্টাচার্য (৫৭)। তিনি বোলপুরে সরকারি স্কুল পরিদর্শক ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অক্টোবর মাসে ছেলেকে নিয়ে ভবানীপুরের ওই হোটেলের ১০১ নম্বর কামরা ভাড়া নেন সুপ্রীতিদেবী। মাঝেমধ্যেই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে গেলেও রাতে ফিরে আসতেন তিনি। এর আগেও তিনি শহরের বিভিন্ন হোটেলে থেকেছেন বলে জেনেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুপ্রীতিদেবী কলকাতায় থেকে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। তবে কিসের চিকিৎসা, তা নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
কী হয়েছিল বুধবার? পুলিশ জানায়, ওই দিন সকালে সুপ্রীতিদেবীর সঙ্গে ইন্দ্রনীলের কথাকাটির আওয়াজ শুনতে পান হোটেলের কর্মীরা। ঘরের মধ্যে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়ে তাঁরা দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু কামরার ভিতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে শেষে রিসেপশন থেকে ‘মাস্টার-কি’ এনে ঘর খোলেন কর্মীরা। ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় সুপ্রীতিদেবীকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। এর পর ওই মহিলাকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করানো হয়। বিকেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
কী কারণে গ্রেফতার করা হল ইন্দ্রনীলকে? পুলিশ জানায়, ঘটনার সময়ে ওই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানান, মায়ের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। তিনি মাকে মারধরও করেন। তার জেরেই মহিলার মুখ দিয়ে রক্ত বেরোয়। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে কী কারণে বুধবার সকালে তাঁদের মনোমালিন্য হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানায়, মহিলার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। |