বিদ্রোহীদের নিশানায় পুরপ্রধান |
• জলপ্রকল্পে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি। • বস্তি উন্নয়ন তহবিলের কাজ শেষ হয়নি। কোটি টাকা নয়ছয়। • গাড়ি ভাড়া ও হোটেলে থাকার লক্ষাধিক টাকা বিল জমা দিয়েছেন। অধিকাংশই ভুয়ো। • অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে ভুয়ো নথি
তৈরি করে দুর্নীতি। • পিএইচই-র বসানো টিউবওয়েলের খরচ পুরখাতে দেখানো। • অ্যাম্বুল্যান্স ও ট্রাক্টরের নিয়ে দুর্নীতি।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সিউড়ি পুরপ্রধান
সব অভিযোগ ভুয়ো। দীপক দাস ও তপন শুকুলরা আগে বোর্ডে থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি
করেছেন। বর্তমান পুরবোর্ড তার তদন্ত করাবে। তা রুখতেই অনশনের নাটক। |
পরিষেবা নিয়ে বিদ্রোহীদের দাবি |
• নিয়মিত নর্দমা ও এলাকা পরিষ্কার রাখা। • বাসস্ট্যান্ডে হকারদের উপদ্রব বন্ধ করা। • পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিস্রুত পানীয় জল। • যে সব এলাকায় জল যাচ্ছে না, সেখানে পৌঁছে দেওয়া। • বেআইনি ভাবে বুজিয়ে ফেলা পুকুরগুলি পুনরুদ্ধার করা। • শহরের সমস্ত অলিগলিতে পথবাতির ব্যবস্থা। •অবৈধ মদের ঠেক বন্ধ করা।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সিউড়ি পুরপ্রধান
সমস্যাগুলির কথা জানি। তার মধ্যে অনেকগুলিই মিটে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই পানীয় জল নিয়েও
সিউড়ির মানুষের সমস্যা মিটবে। শহরের সার্বিক উন্নয়নের কাজ জারি আছে। |
আন্দোলন নিয়ে চাপে বিদ্রোহীরাও |
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ না জানিয়ে অনশনের নামে নাটক। সন্ধ্যা নামতেই মঞ্চ ফাঁকা। দিনভর মাইক বাজিয়ে পুরসভার দৈনন্দিন কাজও ব্যাহত করা হচ্ছে। |
৮ নম্বর ওয়ার্ড। এক দিকে, বাসিন্দাদের পানীয় জলের অন্যতম ভরসা নলকূপ।
তার ঠিক পাশেই
ময়লার পাহাড়। নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়া ওই আবর্জনা
থেকেই
ছড়াচ্ছে নানা রোগ। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
দীপক দাস, প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান
বিভাগীয় মন্ত্রী এবং স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট অথরোটির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। শীতের কারণেই রাতে মঞ্চের কাছে পুরসভার ঘরে থাকছি। মাইক বন্ধ থাকছে।
সিউড়িবাসী কী চান
পুরপ্রধান এবং তাঁরই দলের কাউন্সিলরদের তরজায় অনেকেই বিরক্ত। তাঁরা চান আবর্জনামুক্ত এলাকা এবং পানীয় জল। মূলত এই দু’টি চাহিদা পূরণ হলেই পুরবাসীর বহু সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু, বাস্তবে ন্যূনতম এই চাহিদাটুকুও পূরণ হচ্ছে না বলে একাংশের মানুষের ক্ষোভ।
|
রাস্তাঘাট নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার করা হয় না। দূরের কল থেকে জল
আনতে হয়।
দু’পক্ষ ঝগড়া না করে পুর পরিষেবা নিয়েও একটু ভাবুন!
রণকালী মুখোপাধ্যায়,
স্কুলশিক্ষক, ১ নম্বর ওয়ার্ড |
ওই আন্দোলন নিয়ে কিছু জানি না। যা করার রাজ্য পুর দফতর করবে। কোনও অভিযোগ থাকলে আন্দোলনকারীরা বরং সেখানেই জানাক। জগদীশপ্রসাদ মিনা,
জেলাশাসক |
বর্তমান পুরবোর্ড দুর্নীতি করে থাকলে, তা প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা দরকার। ওঁদের এই অনশনে বাসিন্দাদের সমস্যা মিটবে কি? শিশির পৈতন্ডী, আইনজীবী, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড |
আমার কাছে সিউড়ি পুরসভা নিয়ে কেউ লিখিত কিছু জানাননি।
তাই এ ব্যাপারে আমার কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
চন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী,
মহকুমাশাসক |
|