লোহার রড দিয়ে মহিলাযাত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অপরাধে ধৃত অটোচালক, ঝাউতলা লেনের বাসিন্দা আমির আলিকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আহত ওই যাত্রীও ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে বেশি ভাড়ার দাবি ও খুচরো দেওয়াকে কেন্দ্র করে কড়েয়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বেকবাগানের একটি মলের সামনে অটোচালক আমির আলির সঙ্গে বচসা শুরু হয় ডানলপের বাসিন্দা মৌসুমী কুম্ভকার ও তাঁর সঙ্গী রাজু আহমেদের। এর জেরেই আমির লোহার রড দিয়ে মেরে ওই মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকেই ওই অটোচালককে আটক করে কড়েয়া থানার পুলিশ। আহত মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মাথায় দু’টি সেলাইও করতে হয়। মহিলার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে ধৃত অটোচালকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ধৃত আমিরকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
মঙ্গলবার ডানলপের বাড়িতে বসে মৌসুমী বলেন, “এখন ভালই আছি। তবে মাথার ব্যথা এখনও কমেনি।” অটো চালকের জেল হেফাজতের খবর শুনে তাঁর প্রতিক্রিয়া: “আশা করছি, যে সব অটোচালকেরা যাত্রীদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেন না, তাঁরা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবেন। পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আশা করব সরকারও যাত্রী সুরক্ষায় আরও সচেষ্ট হবে।”
তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউই তাঁর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি। তবে এতে মৌসুমীর কোনও আক্ষেপ নেই। তিনি শুধু চান, মানুষের হেনস্থা বন্ধ হোক।
|