কোথাও রাস্তার ধারে ট্যাপকলের মুখ নেই। কোথাও তা ভেঙে গিয়েছে বা ভেঙে ফেলা হয়েছে। কোথাও কলের মুখ কেউ খুলে নিয়েছে। বহু ক্ষেত্রে কলের মুখ থাকলেও তা বন্ধ করেননি বাসিন্দাদের কেউ, নাগাড়ে জল ঝরছে। এ সমস্যা মেটাতে এ বার ২৪৩০৮৫৬ নম্বরে একটা ফোন করলেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা নজরদারি করবেন। খবর দেবেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে। জলের অপচয় বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেবেন তারা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা ওই নম্বরে ফোন করা যাবে। hnafsiliguri@gmail.com -এও অভিযোগ জানানো যাবে।
শিলিগুড়ি শহরে জলের অপচয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন বা ন্যাফ-এর কর্তারা। ২০১৩-র ৫ জুন তাঁরা জল সংরক্ষণ ও অপচয় রুখতে সচেতনতার প্রচার শুরু করেন তাঁরা। শিলিগুড়ি পুর এলাকার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে প্রচারও সারা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থেকে শহরের নানা পরিচিত মুখকে তাঁরা সামিল করেন প্রচার অভিযানে। তাঁদের দাবি, পুরসভা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সাহায্যে ভেঙে যাওয়া বহু কল ঠিক করিয়েছেন তাঁরা। তাতে মাসে ১ লক্ষ লিটার জলের অপচয় বন্ধ হয়েছে। এ কাজ আরও ভাল ভাবে করতে পারলে বছরে ১ কোটি লিটার জলের অপচয় বন্ধ করতে তাঁরা আশাবাদী। তাই জনস্বাস্থ্য কারিগরির অনুমতি নিয়ে তারা ফোন চালু করেছেন। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “দিনের বেলায় কাজে সদস্যরা ব্যস্ত থাকেন। তাই সন্ধ্যায় ফোন করার কথা বলা হয়। ওই সময় সদস্যরা থাকবেন।”
ন্যাফের দাবি, শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য ১৩৮০টি স্ট্যান্ড পোস্ট রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪০০ স্ট্যান্ড পোস্ট খারাপ থাকার বিষয়টি তাদের নজরে আসে। কোনটা ভাঙা, কোনটার কল কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। তাতে জলের অপচয় ঘটছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কার্যনির্বাহী আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ সেন বলেছেন, “ওই সংস্থার তরফে জানানো হয় অনেকেই তাঁদের ফোন করে পানীয় জলের ট্যাপকল থেকে জল অপচয়ের বিষয়টি জানান। এ ধরনের সমস্যার খবর পেলে তাঁরা আমাদের জানাবেন। আমরা দরকারে ব্যবস্থা নেব। তাই সংস্থার সদস্যরা ফোন নম্বর দেন। পৃথক ভাবে আমাদের অভিযোগ জানালেও হবে।” |