তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে চাল বিক্রির অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল সিপিএম। সোমবার দুপুরে হাসনাবাদের মুরারীশাহা পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে বচসা-হাতাহাতি হয়। পরে হাসনাবাদ থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলে সকলকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাসনাবাদের মুরারীশাহা পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের ১৫টি তৃণমূল ও ৮টি সিপিএমের দখলে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ত্রাণের চাল গরিব মানুষের মধ্যে না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। সিপিএমের পক্ষে পঞ্চায়েত প্রধান মানসুরা সর্দারকে ঘেরাও করা হয়। তা জানতে পেরে তৃণমূলের লোকেরা এসে জড়ো হলে দু’পক্ষে মারামারি বেধে যায়। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে তাঁদেরও আক্রমণ করা হয়। দু’জন সাংবাদিক ও নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
পঞ্চায়েত ভবনের সামনে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রধান মানসুরা সর্দারের দাবি, রাজাপুর ও মুরারীশাহা অঞ্চল থেকে চাল এসেছে। স্লিপ ইস্যু করে তা গরিব মানুষের মধ্যে বিলিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই সিপিএমের তহমিনা গাজি-সহ কয়েক জন গ্রামের মানুষকে খেপিয়ে তোলে।
তহমিনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গরিব মানুষের চালের জন্য দাবি করেছিল বাসিন্দারা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ওদের লোকেরাই তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। ”পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য গোষ্ঠবিহারী ঘোষ বলেন, “সিপিএম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করতে গিয়েছিল কি না তা আমার জানা নেই।” |