|
|
|
|
সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে সরব লগ্নি সংস্থার এজেন্টরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আর্থিক সুরক্ষা, আমানতকারীদের টাকা ফেরত-সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করতে চলেছেন সারদা ছাড়া অন্য অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টরা। ইতিমধ্যে ‘অল বেঙ্গল ফিনানশিয়াল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন গড়েছেন এই এজেন্টরা। ওই সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সভা হল সোমবার। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে ওই সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টরা যোগ দেন। সভা শেষে অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি সৌমেন সামন্ত বলেন, “আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ সভায় আলোচনা হয়েছে। কিছু সিদ্ধান্তও হয়েছে। কলকাতায় জমায়েতও হবে।” সংগঠন সূত্রে খবর, শীঘ্রই সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারির সঙ্গে দেখা করবে। জেলাশাসককে এজেন্টদের দাবিদাওয়ার কথা জানাবে। আগেও একবার জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সমীর পুততুণ্ডুও। |
মেদিনীপুরে এজেন্টদের সাধারণ সভা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
সারদা কেলেঙ্কারির পরে বিচারপতি শ্যামল সেনকে চেয়ারম্যান করে কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সারদা-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফিরিয়ে দিতে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করবে সরকার। ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরুও হয়েছে। এই কর্মসূচির সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে অন্য লগ্নি সংস্থার এজেন্টদের দাবি, তাদের বিষয়েও হস্তক্ষেপ করুক সরকার। এজেন্টদের এই সংগঠনে পশ্চিম মেদিনীপুরে সারদা ভিন্ন ৭৬টি অর্থলগ্নি সংস্থার ১০ হাজারেরও বেশি এজেন্ট রয়েছেন বলে অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর। সোমবারের সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রদীপকুমার দাস নন্দী, জেলা সম্পাদক সুকুমার মণ্ডল, জেলা সহ- সভাপতি অশোককুমার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
সারদা কাণ্ডের জেরে রাজ্যে ৬০ জনের বেশি এজেন্ট আত্মহত্যা করেছেন বলে ওই সংগঠনের দাবি। অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সহ-সভাপতি অশোককুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “একজন অপরাধ করবে, আর সবাই সাজা ভোগ করবে, এ তো হতে পারে না। অথচ, তাই হচ্ছে। আমাদের মতো হাজার হাজার এজেন্ট চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।” তাঁর কথায়, “আমানতকারীরা টাকা ফেরত চেয়ে এজেন্টদের উপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন। টাকা তো আমাদের কাছে জমা নেই। সংস্থার কাছে জমা রয়েছে। আমরা চাই, সমস্ত কোম্পানির মালিকদের সম্পত্তির সিবিআই তদন্ত হোক। সরকার আমানতকারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক। এজেন্টদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক।” |
|
|
|
|
|