মিসবার উচ্ছ্বাস। ছবি:এএফপি। |
১-০ এগিয়ে থাকায় তৃতীয় টেস্ট ‘না হারার’ টার্গেট নিয়ে নামা শ্রীলঙ্কা কল্পনাও করতে পারেনি এ ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যাবে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৪২৮ রানের জবাবে ৩৪১ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তান। চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১৩৩-৫। পঞ্চম দিনের খেলাও ঢিকির ঢিকির চালে ড্র-য়ের দিকে এগোচ্ছে ধরে নিয়েছিলেন সবাই। তা ছাড়া ৩০ ওভারে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস ২১৪ শেষ করে দেওয়ার পর পাকিস্তানের সামনে টার্গেটও ছিল প্রায় পাহাড় সমান। আজহারের হাত ধরে মরিয়া লড়াইটা এখান থেকে শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের।
শ্রীলঙ্কাকে কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি ২৮ বছরের লাহোরের ছেলে। পরে মিসবা যুদ্ধে জয়ের হাসি নিয়ে বলেন, “ক্যাপ্টেন হিসেবে এটাই সেরা মুহূর্ত। আমরা সিরিজে পিছিয়ে থাকায় ওরা ৩০০-র বেশি টার্গেট রাখার পরও সবাই জয়ের জন্য ঝাঁপাতে প্রস্তুত ছিল।’’ আর ম্যাচের সেরা আজহার বলেন, “পরিষ্কার নির্দেশ ছিল কী করতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।”
অবিশ্বাস্য এই জয়ের পর খুশি প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররাও। রামিজ রাজা যেমন বলছেন, “এই জয় মিসবা এবং পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুন আত্মবিশ্বাস জোগাবে।” একই সুর প্রাক্তন পাক পেসার ওয়াকার ইউনিসের গলায়। তিনি বলেছেন, “অন্যতম সেরা জয়। আগামী দিনে পজিটিভ ক্রিকেট খেলতে যা সাহায্য করবে মিসবাদের।” প্রাক্তন পাক অধিনায়ক মহসিন খানও বলছেন, “এই জয় পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন অধ্যায় যোগ করবে।” |